সোহাগ হাসান জয়,সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার ঘটনাটি রাজনীতিক নয়, বরং এটি ব্যবসায়িক বিরোধ এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে বলে দাবী করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আমির মাওলানা শাহিনুর আলম।
গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের দরগাহ রোডস্থ জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্বার্থঘনিষ্ঠ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে একে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চলছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গত ১৭ এপ্রিল রাতে উল্লাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ইজারাদার ও জামায়াত কর্মী হাফিজুল এবং তার সঙ্গে থাকা ৫-৭ জনকে বিএনপির সাবেক উপজেলা সদস্য সচিব মোঃ আজাদ রহমান প্রায় ১৫০-২০০ জন লোক নিয়ে মারধর করেন। পরদিন ক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী আজাদের ওপর পাল্টা হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজে হাফিজুলকে উল্লাপাড়া আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেই, যা রাজনৈতিক সৌজন্যের এক ব্যতিক্রম উদাহরণ।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, বিএনপি এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে জামায়াতকে টার্গেট করছে। তাদের বিক্ষোভ মিছিলে ‘ধর ধর শিবির ধর’, ‘ধইরা ধইরা জবাই কর’ জাতীয় উসকানিমূলক ও আইনবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যা ফৌজদারি আইনে দণ্ডনীয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল লতিফ, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলহাজ আলী এবং শহর শিবিরের সভাপতি শামিম রেজা।