রাজশাহীতে সড়ক ও রেলপথ আটকে রেখে বিক্ষোভ করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে আজ বুধবার দুপুর থেকে নগরের ভদ্রা এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন তাঁরা। এতে তিনটি ট্রেন আটকা পড়েছে। ট্রেনগুলো রাজশাহীতে ঢুকতে পারছে না। অবরোধের কারণে কার্যত রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
দুপুরে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ব্যানারে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভদ্রা মোড়ে যান। এরপর শিক্ষার্থীদের একাংশ সড়কের একাংশ অবরোধ করে বসে পড়ে। অপর একটি অংশ রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে রেলপথ অবরোধ করে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত রেলপথ অবরোধ করে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁদের ছয় দফা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইন্সপেক্টরদের অবৈধভাবে দেওয়া পদোন্নতির রায় বাতিল করা; ‘ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর’ পদবি পরিবর্তন করে মামলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা, ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করা এবং উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (দশম গ্রেড) পদ ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) পাস করা শিক্ষার্থীদেরই নিয়োগ দেওয়া।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী অনিয়ম, বৈষম্য ও অদূরদর্শী নীতির কারণে এ খাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে এবং দেশের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। তাই তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে হবে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাসানুল হক হিমেল জানান, রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়ার মতো কোনো ট্রেন নেই। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে আসা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ও গোপালগঞ্জ থেকে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের রাজশাহী ঢোকার কথা ছিল। রেলপথ অবরোধ থাকায় ট্রেনগুলো রাজশাহীতে ঢুকতে পারছে না। আগের কয়েকটি স্টেশনে ট্রেন তিনটি থেমে আছে বলেও জানান স্টেশনের এই কর্মকর্তা। সূত্র: আজকের পত্রিকা