কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নে পিতার বাড়িতে বেড়াতে এসে মিনু আক্তার স্বামী ফরিদুল আলমের চুরিকাঘাতে মৃত্যুর এক সপ্তাহে না পেরুতেই জনতার গনপিটুনির শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনু হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী ফরিদুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬এপ্রিল ) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গনপিটুনিতে নিহত ফরিদুল আলম (৪৫) বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল ভোর সকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলশায় পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসা স্ত্রী মিনু আক্তারকে ছুরিকাঘাতে পালিয়ে যায় স্বামী ফরিদুল আলম। পরে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যুবরণ করে তিন সন্তানের জননী মিনু আক্তার । এ ঘটনার পরে নিহত মিনুর ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ফরিদুল আলমকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে ফরিদুল আলম নিখোঁজ থাকলেও ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে সে নিজ বাড়ি এলাকা খানখানাবাদের ডোংরা আসলে জনতা তাকে পিটুনি দিয়ে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে । গুরুতর আহত ফরিদুল আলমকে পুলিশ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৬এপ্রিল) ভোর সকালে মৃত্যুবরণ করে । চুরিকাঘাতে নিহত মিনু আক্তার (৩৫)ও গনপিটুনিতে নিহত ফরিদুল আলমের সংসারে ২ মেয়ে ১ছেলে রয়েছে ।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মিনু আক্তার হত্যা মামলার আসামি ফরিদুল আলম বুধবার ভোরে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। লাশের পোষ্ট মার্ডাম এবং আইনগত কার্যাদি শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।