অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে গিয়েছিলেন মা। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বাবাও ছিলেন বাইরে। সুযোগবুঝে এ দম্পতির সাড়ে তিন বছরের মেয়েশিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের কারারপাড় গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। শেরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই দিনের চিকিৎসা শেষে রোববার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে ভুক্তভোগী শিশুটিকে।
মেয়েটির মায়ের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর শিশুসন্তান রান্নাঘরে গড়াগড়ি করে কান্না করছে। তখন আকারে-ইঙ্গিতে ঘটনাটি জানায়। তীব্র ব্যথায় কাতর মেয়েকে নিয়ে শেরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে শিশুটির চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুন্নাহার নার্গিস।
বেসরকারি হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শিশুটির প্রজনন অঙ্গে ক্ষত দেখা গেছে। দুইদিন সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার পরিবার তাকে বাড়ি নিয়ে গেছে।
প্রতিবেশীদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির বাড়িতে গিয়ে পানি খেতে চায় একই এলাকার মো. আজিজুল হক (৭৫)। এ সময় বাড়িতে কেউই ছিল না। মেয়েটির হাত থেকে গ্লাসের পানি পান করার পর রান্নাঘরে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালায় সে। এ ঘটনা জানাজানি হলে আজিজুল ও তার পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন শনিবার আজিজুলকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। আজ রোববার শিশুটির মা শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন।
থানার ওসি মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, মামলায় আজিজুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী তারেক আবদুল্লাহ রানা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিন বছরের শিশু পর্যন্ত ৭৫ বছরের বৃদ্ধের যৌন নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সমাজে অসভ্যতা-বর্বরতা দিন দিন বাড়ছে। কোথায় এর শেষ– জানি না।’ উৎস: সমকাল।