আবারও ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পর ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
রাজধানীর বনশ্রীর বাসিন্দা সাদিয়া তানজিম প্রমি জানান, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় খাটের তীব্র ঝাঁকুনি অনভূতি হয়েছিল। এ সময় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভূমিকম্প নিয়ে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তর এবং ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪।
এর আগে গত ২৮ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশে দুদফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রথমবার ১২টা ২০ মিনিটে ৭.৭ মাত্রার রিখটার স্কেলে এবং দ্বিতীয়বার ১২টা ৩২ মিনিটে ৬.৪ মাত্রার রিখটার স্কেলে অনভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। আর আহত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।