শিরোনাম
◈ ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে! ◈ উত্তরা এলাকায় হঠাৎ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ◈ ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে সমঝোতা স্বাক্ষর ◈ কাশ্মীর নিয়ে কোনো ছাড় নয়, ১৩ লাখ ভারতীয় সেনাদের ভয় পায় না পাকিস্তান: জেনারেল আসিম মুনির ◈ দেশে প্রথমবার অভ্যন্তরীণ রুটে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু, রপ্তানিতে আসবে গতি ◈ 'টিপকাণ্ড' ঘিরে মানহানির মামলা: ১৬ তারকাকে আসামি করলেন সেই চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ◈ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা বাড়াচ্ছে আরাকান আর্মি, জাতীয় স্বার্থে আলোচনা সম্ভব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ কৃ‌ষি গু‌চ্ছের বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় ও বিষয় পছ‌ন্দের আবেদন শুরু ◈ বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পক্ষে ভারতের যুক্তি: ‘আগে বাংলাদেশ কী করেছে, সেটাও দেখতে হবে’ ◈ কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন মডেল মেঘনা: চার্জশিটে অভিযোগ

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৩০ বিকাল
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঁশখালীর পর্যটন স্পর্টে ভোগান্তি

কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে বাঁশখালীর পর্যটন স্পর্ট গুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়াতে উপকুলীয় সমুদ্র সৈকত, ইকোপার্ক ও চা বাগানে বেড়াতে আসা লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়ে। অথচ চট্টগ্রামের পাহাড় ,সাগর বেষ্টিত ও সমতল এলাকা নিয়ে গঠিত পর্যটন সমুদ্ধ বাঁশখালী উপজেলাটি একটি অন্যতম পর্যটন স্পর্ট হলে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়াতে বার বার পিছিয়ে পড়ছে।

অথচ দেশের বিশাল সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের পর ৩৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাঁশখালীর সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত,আকাঁবাঁকা অসংখ্য পাহাড় ও হ্রদ নিয়ে বিশাল এলাকা জুড়ে বাঁশখালী ইকোপার্ক ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র চা বাগান চাঁদপুর বেলগাঁও চা বাগানের অবস্থান হওয়াতে সাধারন জনগন এসব স্পর্ট গুলোতে বেড়াতে এসে যোগাযোগের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বাঁশখালীর সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতে তিনটি সড়কে চলাচল করা গেলে অধিকাংশ পর্যটক ও সাধারন জনগন কালীপুর ইউনিয়নের সলিহা বর পুল থেকে বশির উল্লাহ মিয়াজী ব্রীজ হয়ে সমুদ্র সৈকতে সরসরি সহজে যাওয়া যায়। এ সড়কের বশির উল্লাহ মিয়াজী বাজারের বেইলী ব্রীজটি পাটাঠন নষ্ট হওয়াতে চরম ভোগান্তি হয়েছে জনগনের। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার এ বেইলী ব্রীজটি সংস্কার করা হলেও কার্যত স্থায়ীভাবে না করাতে বার বার নষ্ট হয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়।

এদিকে বাঁশখালী ইকোপার্ক সড়কের দীর্ঘ দিনের বৈাগান্তির অবসান ঘটিয়ে সড়ক সংস্কার কাজ চলমান থাকলে ও পার্কের গেইটের সামান্য দুরে ভাঙ্গা কাঠের ব্রীজটির কারণে বড় ধরনের কোন গাড়ি পার্কে প্রবেশ করতে পারছেনা। বর্তমানে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলে যে ব্রীজটি জরুরী ভিত্তিতে করা প্রয়োজন সেটা করা হচ্ছে না বলে জানান বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইসরাঈল হক।

তিনি আরো বলেন, পার্কে যারা ভ্রমনে আসছে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা সহ সুযোগ সুবিধা প্রদানে কর্তৃপক্ষ শতভাগ আন্তরিক । তবে সড়ক সংস্কারের কাজ দ্রæত শেষ হলে এবং প্রবেশ পথের কাঠের ব্রীজটি সংস্কার জরুরী বলে তিনি জানান। 

অপরদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র চা বাগান চাঁদপুর বেলগাঁও চা বাগানে পর্যটকদের আগমনে কোলাহলময় হয়ে উঠেছে বাঁশখালীর চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশীয় চা সংসদ চট্রগ্রামের চেয়ারম্যান মো: আবুল বাশার। তিনি বলেন এটা বিনোদন কেন্দ্র না হলেও সাধারন জনগনের চাহিদা পূরণ কিংবা চা বাগান দেখার ইচ্ছে পূরণে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হলেও পর্যাপ্ত লোকজনের মাধ্যমে বাগান উমুক্ত রাখার চেষ্টা করি তবে বাগানের আসার প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হওয়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

এদিকে বিগত ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রয়ারি ‘চট্টগ্রাম বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির’ সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বাঁশখালীর বাহারছড়াও খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত এলাকায় ট্যুারিষ্ট পুলিশ মোতায়ন করার নির্দেশ দিলে ও তা এখনও বাস্তবায়ন না হওয়াতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকার সাধারন জনগন। এছাড়া পর্যটন এলাকার বেড়িবাঁধের উপরে অযথা যত্রছত্র গড়া উঠা দোকান, আইনশৃংখলা বাহিনী না থাকা সব মিলিয়ে বাঁশখালী উপকুলীয় সমুদ্র এলাকার প্রতি প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দেখতে চান এলাকার সর্বস্তরের জনগন।

বাঁশখালীর সমুদ্র উপকুলের ৮টি ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগরের কোঁল ঘেষে ৩৭ কিলোমিটার এ দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে পর্যটন স্পর্ট বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় পর্যটন কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা এসে পরিদর্শন করে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে কোন উদ্যোগে নেওয়া না হলেও প্রতিটি জাতীয় দিবস কিংবা ঈদ পার্বনে লোকসমাগমের কমতি নেই।

কিন্ত আশানুরুপ উন্নয়ন ও তদারকি না থাকাতে ভোগান্তি হলেও সা‌রি সা‌রি ঝাউবন আর সুদীর্ঘ বে‌ড়িবাঁধের উপর এ সমুদ্র সৈকত যে কা‌রো মন কা‌ড়ে। বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত বালুময় বেলাভূমি এবং ঝাউবনে ঘেরা এসমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজারের পর বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত বলা যেতে পারে। এটি ছনুয়া, গন্ডামারা, বাহারছড়া,সরল, খানখানাবাদও কাথরিয়া উপকূল মিলিয়ে সর্বমোট ৩৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত নির্জনতা , দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের বুকে সূর্যাস্তের দৃশ্য, লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ মুগ্ধ করে বলে জানান বেড়াতে আসা সংবাদকর্মী শিব্বির আহমদ রানা । তবে তিনি বলেন, এখান অসংখ্যা লোকের মাঝে বাইকারদের উৎপাত রোধ করা বলে জানান। ছবি সংযুক্ত - উপকুলীয় সমুদ্র সৈকত বাহারছড়া এলাকা ও এবং বাহারছড়া বশির উল্লাহ মিয়াজী বাজার বেইলী ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়