শিরোনাম
◈ রাখাইনের গেরিলা কমান্ডার থেকে আঞ্চলিক শক্তি: তোয়ান মারত নাইংয়ের উত্থানের গল্প ◈ ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের: ‘অগ্রগতি না হলে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র’ ◈ নালায় পড়ে ভেসে যাওয়া শিশু ১২ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি ◈ তিন দাবিতে এনসিপির নতুন কর্মসূচি ◈ গাজায় খাদ্য সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৬৪; মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়ালো ◈ তেহরানে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক: খামেনির কাছে বাদশাহ সালমানের গোপন চিঠি হস্তান্তর ◈ মুরাদনগরে একই দিনে বিএনপি ও এনসিপির পাল্টাপাল্টি জনসভা ঘোষণা, উত্তেজনা চরমে ◈ ব্রাজিলকে নি‌য়ে মেসির আ‌ক্ষেপ ◈ হঠাৎ যে কারণে ইসরায়েলে উড়ে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে মার্কিন সামরিক বিমান! ◈ বাংলাদেশে শিক্ষকদের অপমান ও জবরদস্তিমূলক পদত্যাগ: শিক্ষা ব্যবস্থায় অশনি সংকেত

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:১৪ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফটিকছড়ি উত্তর রাঙ্গামাটিয়া রাবার বাগান ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পট

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলা উত্তর  রাঙ্গামাটিয়া রাবার বাগানে সবুজের সমারোহে প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত।এ রাবার বাগান ঘিরে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন স্পট। এ ছাড়া এলাকাজুড়ে রয়েছে বাগানের সারিবদ্ধ গাছ, রাবার গাছের কষ পড়ার দৃশ্য খুব সহজেই মন কাড়ে দর্শকদের।ফটিকছড়িতে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ।তাদের বৈচিত্র্যময় জীবন সাধারণ নাগরিকদের মন নাড়া দেয়। এ উপজেলায় প্রায় আটটি ভাষাভাষী মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে।

রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপত্য। যেগুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তাই সচেতন মহল মনে করে,সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হলে তা পর্যটকদের আকর্ষণের পাশাপাশি এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রসার ঘটবে।

রাবার বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ দর্শনার্থীদের মনে আনন্দ দেয়। প্রতিদিন ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসছে এখানে।ছোট ছোট ঠিলা উঁচুনিচু ডালে রাবার বাগানে প্রবেশ করতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ে পর্যটকদের। দুই পাশে শৃঙ্খলিত গাছের পাহারায় সড়কের আকাশ ঢাকা পড়েছে সবুজ পাতার আস্তরণে। কল্পনার মতোই প্রকৃতি যেন এঁকে দিয়েছে অনিন্দ্য সৌন্দর্য। 

স্বীকৃৃত কোনো পর্যটন স্পট না হলেও প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকনে দিন দিন বাড়ছে ফটিকছড়ি উপজেলার উত্তর রাঙ্গামাটিয়া রাবার বাগান রোডে পর্যটকের সংখ্যা। সারি সারি গাছ ও সবুজাভ আভা বাগানটিকে দিয়েছে অন্য রকম মুগ্ধতা। পাখির চোখে দেখলে মনে হবে যেন শিল্পীর তুলির আছড়ে আঁকা কোনো ক্যানভাস। এখানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা এসে থাকেন।

রাবার বাগানের যে মনোহরী সৌন্দয্য ফুটে উঠে তাতে আগত পর্যটকরা সেলফি তোলতে যেনো হুমড়ি খেয়ে পড়ে। প্রতিদিন পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত বদলে যাচ্ছে  মানুষের জীবনযাত্রা। রাবার গাছ পরিবেশবান্ধব একটি বৃক্ষ। এটি পরিবেশকে শীতল রাখে। এর রয়েছে তাপমাত্রা ও কার্বনডাই অক্সাইড চুষণের অন্যান্য গাছের চেয়ে বেশি শক্তি। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের আশু বিপর্যয় ঠেকাতে রাবার গাছের রয়েছে বিরাট ভূমিকা। এর শেকড় বহুদূর বিস্তৃত ও মাটির গভীরে থাকার কারণে মাটি আকড়ে ধরে রাখে । ফলে পাহাড় ধস থেকে রক্ষা পায় ও জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে। একটা রাবার গাছের গড় আয়ু হয়ে থাকে ৩২ বছর। এরই মধ্যে রোপনের ৭ বছর পর থেকে একটি গাছ রাবার উৎপাদন উপযোগী হয়ে থাকে। 

ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৩৫৬.৬২ একর রাঙ্গামাটিয়া রাবার বাগান ২০১২সালে কাঞ্চননগর রাবার বাগান থেকে পৃথক হয়, যা মূলত ১৯৭৮-৭৯ সালে স্থাপিত হয়। বাগানটি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলা সদরের ০৩(তিন) কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে কাঞ্চননগর রাস্তার উভয় পার্শে অবস্থিত। উক্ত বাগানে মোট গাছের সংখ্যা ১০১৮৮৫টি, উৎপাদনশীল গাছ ৬২১৮৪টি, জীবনচক্র হারানো গাছ ২১০৭১টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়