শিরোনাম
◈ লন্ডনে কী আলোচনা হলো, জানালেন জামায়াত আমির (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে মানবিক সহায়তা বাড়িয়েছে সুইডেন ◈ বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে: কারিগরি শিক্ষার্থীরা ◈ গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে বিএনপির গঠনমূলক ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. আলী রীয়াজ ◈ জামায়াত আমির বললেন নির্বাচনের আগে তিন শর্ত পূরণ হতে হবে  ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিট বিভ্রান্তিকর, সংস্কার নিয়ে বিএনপি সিরিয়াস: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ ঢাকাসহ ১৫ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস ◈ পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা : আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ◈ বাংলাদেশকে নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করল ইইউ, কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয় ◈ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা অভিযোগ করেন, আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি: আদালতকে মেঘনা আলম

প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০১ রাত
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রবাসে গিয়ে কোনো রকমে বেঁচে ফিরেছেন লোকমান, দিশেহারা পরিবার

ভাগ্য ফেরাতে লিবিয়া পাড়ি জমিয়ে ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার লোকমান। তবে সব হারিয়ে শরীরে অজস্র আঘাতের চিহ্ন নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে ফিরে এসেছেন তিনি। দালাল আর অপহরণকারীদের নির্যাতনের চিহ্ন এখন পুরো শরীরে, আর চোখে-মুখে আতঙ্ক। পরিবার নিয়ে আছেন বিপাকে।

জানা যায়, দেশে দিন মজুরের কাজ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে না পেরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার শাহ আলম এবং তার ভগ্নিপতি মান্নানের মাধ্যমে একটি দোকানে কাজ করার চুক্তিতে লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন লোকমান হোসেন। তবে লিবিয়া যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারে তাকে অবৈধভাবে নেয়া হয়েছে।

 এরপর সেখানে একটি কোম্পানির মাধ্যমে রাস্তার নির্মানের কাজ শুরু করলেও ঠিক মতো বেতন দেয়া হতো না তাকে। বেতন চাইলেই করা হত শারীরিক নির্যাতন।
 
লিবিয়ায় টিকতে না পেরে সেখানে কাজ করা সিলেটের হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিরু ইসলামের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার জন্য চুক্তি করে লোকমান। এজন্য বাড়ি থেকে তার স্ত্রী ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ধারদেনা করে শিরুকে ১০ লাখ টাকা দেন।
 
 তবে ইটালি পাঠানোর পরিবর্তে শিরু তাকে লিবিয়ার ত্রিপলীর একটি অপহরণকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়। এরপর সেখানে লোকমানের শুরু হয় দুর্বিষহ জীবন। তাকে নির্মম নির্যাতন করে পরিবারের সদস্যদের কাছে তার ভিডিও পাঠানো হয়। আর মুক্তির জন্য অপহরণকারীরা দাবি করে ১৫ লাখ টাকা।
 
তবে ৭ মাস পর দাদন হাওলাদার নামে আরেক বাংলাদেশির মাধ্যমে সেখান থেকে ১২ লাখ টাকায় মুক্তি পায় লোকমান। তবে দাদনও তার সাথে প্রতারণা করে। নির্ধারিত স্থানে লোকমানকে পৌঁছে না দেয়ায় তিনি ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
 
এরপর আরও দুই মাস জেল খেটে আইওএম এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গত ২৭ মার্চ বাড়িতে ফিরেছেন লোকমান।
 
 লোকমানকে ফিরে পেয়ে মা ও তার স্ত্রী খুশি হলেও এরই মধ্যে তাদের বিক্রি করে দিতে হয়েছে সব সম্বল। এ থেকে বাদ যায়নি নিজেদের থাকার জায়গাটুকুও। অজস্র আঘাতে ক্ষতবিক্ষত লোকমানের প্রয়োজন এখন উন্নত চিকিৎসা।
 
তবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে অন্ধকার ভবিষ্যত দেখছে পরিবারটি। তাই সমাজের বিত্তবান ও সরকারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন তারা। সেই সঙ্গে যারা অন্যায় করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে তারা।
 
লোকমানের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের এখন আর কোনো উপায় নেই, সব হারিয়েছি। পরিবারে আয় করার মতো কেউ নেই। চিকিৎসা দরকার লোকমানের, মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় আমাদের পাশে সরকার না দাঁড়ালে আমরা পথে বসবো।  উৎস: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়