শিরোনাম
◈ উত্তরা এলাকায় হঠাৎ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ◈ ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে সমঝোতা স্বাক্ষর ◈ কাশ্মীর নিয়ে কোনো ছাড় নয়, ১৩ লাখ ভারতীয় সেনাদের ভয় পায় না পাকিস্তান: জেনারেল আসিম মুনির ◈ দেশে প্রথমবার অভ্যন্তরীণ রুটে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু, রপ্তানিতে আসবে গতি ◈ 'টিপকাণ্ড' ঘিরে মানহানির মামলা: ১৬ তারকাকে আসামি করলেন সেই চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ◈ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা বাড়াচ্ছে আরাকান আর্মি, জাতীয় স্বার্থে আলোচনা সম্ভব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ কৃ‌ষি গু‌চ্ছের বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় ও বিষয় পছ‌ন্দের আবেদন শুরু ◈ বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পক্ষে ভারতের যুক্তি: ‘আগে বাংলাদেশ কী করেছে, সেটাও দেখতে হবে’ ◈ কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন মডেল মেঘনা: চার্জশিটে অভিযোগ ◈ মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের অভিযান: ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শৈলকুপায় সরকারি ক্যানালের মাটি কেটে বিক্রি করছে কৃষকদল নেতা

ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের হামদামপুর এলাকায় সরকারি ক্যানালের পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় কৃষকদল নেতা। প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ক্যানেলের পাশের জমির চাষাবাদ।
 
এলাকাবাসীর জানায়, কাঁচেরকোল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রুহুল মেম্বর গত কয়েক দিন ধরে এক্সকাভেটর (ভেকু) মেশিন ব্যবহার করে ক্যানালের পাড় কেটে মাটি নিয়ে বিক্রি করছেন। রুহুল মেম্বর ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ওসমান আলী ও শৈলকুপা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস আলীর ভাই।

এলাকাবাসী জানায়, গত ২৮ মার্চ হামদামপুর এলাকায় সরকারি ক্যানালের পাড়ের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা শুরু করে রুহুল মেম্বর। যেসব কৃষকের জমির উপর দিয়ে ক্যানাল পাড়ে যেতে হয় সেসব জমির চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে সে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকেরা। বার বার বললেও উল্টো হুমকি দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়দিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ট্রলিতে করে মাটি আমাদের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের জমিতে এখন পাট বুনব। কিন্তু কোন ভাবেই রুহুল মেম্বর জমিতে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।

আরেক কৃষক বলেন, যেভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে তাতে বৃষ্টি হলে খাল ধ্বসে পানি আমাদের ফসলের মধ্যে চলে আসবে। কিছুদিন পর তো আমরা বিপদে পড়ব।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের অবৈধ মাটি উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘমেয়াদে এর পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। ঘটনাটি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।

এ ব্যাপারে রুহুল মেম্বর বলেন, খাল পাড় না পাশের একটি জমি থেকে মাটি কেটেছিলাম। মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি বলেই কল কেটে দেন।  এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিগ্ধা দাস বলেন, এমন কোন তথ্য আমার কাছে ছিলো না। আপনি যেহেতু বললেন, আমি ব্যবস্থা নিব।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়