ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাসিকের সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, দেশ নিয়ে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র হলে শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা ঘরে বসে থাকবে না। দল ও দেশের প্রয়োজনে জিয়ার সৈনিকরা রাজপথে ছিল, আছে ও থাকবো। জেল, জুলুম কোনোকিছুই শহীদ জিয়ার সৈনিকদের থামাতে পারবে না। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম ও চন্দ্রিমা থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শালবাগানে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনা মুক্ত নতুন বাংলাদেশে প্রথম ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সন্তানদের (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম) জন্য আগামীতে বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য। বিএনপি মাটি ও মানুষের দল। বিএনপি এ অতীতে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যণের জন্য কাজ করেছে ভবিষ্যতেও করবে। তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিগত স্বৈরাচার সরকার হাসিনাকে বিদায় করতে আন্দোলন সংগ্রামে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে তার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। তাকেও কারাগারে থাকতে হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান আমাদের নেতা তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে আগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ্য করে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হিসেবে জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোনো আন্দোলনই দুই/একদিনে সফল হয়না। দীর্ঘ সময় শ্রম ও নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে আন্দোলন সফল হয়। এই আন্দোলন সফল করতে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী কারা নির্যাতিত হয়েছে। জীবন উৎসর্গ করেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। অনেক নেতাকর্মীর পরিবার তাদের স্বজনদের এখন পর্যন্ত খোঁজ পায়নি।
তিনি আরো বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সাথে থাকা কিছু ব্যক্তিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা সফল হতে দেওয়া হবে না। দল কখনও এসব বরদাশত করবে না। এ ধরণের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করলে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। দীর্ঘ সময় ধরে আপনাদের সাথে সুখে দুঃখে আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, যারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ফ্যাসিস্ট বিরোধী মিছিল মিটিংয়ে আসেননি তাদের সামনে আনার সুযোগ নেই। তারা পেছনে থাকবে। পরে বিএনপি চিন্তা করবে তাদের সদস্য পদ দেওয়া হবে কি হবে না। বিএপি নেতাকর্মীদের তিনি ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকার আহবান জানান।
শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদের সভাপতিত্বে ও শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা শফিউল আলম বুলু, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সখিনা খাতুন, বিএনপি নেতা শাহিন ইকবালসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এই ঈদ পুর্নমিলনীতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।