রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি জয়পুর গ্রামে সালমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে তার নিজ ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ।
নিহত সালমা একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. আজাদের স্ত্রী। তার সাত বছর বয়সী একটি ছেলে ও তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, সকালে চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে ঘরের ভেতরে সালমার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে কে বা কারা সালমাকে মেরে রেখে গেছে। তার কোনো শত্রু ছিল না। সে সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলত। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে সালমার মোবাইল ফোন ও ঘরে রাখা প্রায় এক লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
বরাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাপ আলী সরদার জানান, সালমা তার দুই সন্তানকে নিয়ে এক ঘরে থাকতেন। সালমার শিশু সন্তান তাদের জানিয়েছে, রাতের কোনো এক সময় তাকে (শিশুটিকে) বাইরে থাকা শৌচাগারে নিয়ে যান। ওই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢোকে। পরে সালমা ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তদের দেখে চিৎকার দিতে যায়। ওই সময় দুর্বৃত্তরা সালমা ও তার ছেলের মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে। তারপর কী ঘটেছে তা শিশুটি বলতে পারেনি। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে চলে যায়।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থার সালমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। উৎস: সমকাল।