সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বকাবকিতে মনিরা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। এ খবর শুনে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তার প্রেমিক শাহ আলম (২২)। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যায় বুধহাটা বাজারে প্রেমিক শাহ আলমের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করেন মনিরা খাতুন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি নোমান হোসেন গৃহবধূর স্বামীর বরাতে সাংবাদিকদের জানান, প্রেমিকের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ায় স্বামীর বকাঝকা খেয়ে স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৪) রাতে ঘুমাতে যায়। পরে সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় ঘর থেকে। এ খবর শুনে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিক শাহ আলম (২২)। মনিরা খাতুন ও আল আমিন দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার উত্তর চাপড়া গ্রামের আল-আমিন সানা জানান, তার স্ত্রী মনিরা খাতুন একই গ্রামের শাহজাহান গাজীর ছেলে শাহ আলমের দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত ছিল। বিষয়টি তাকে জানায় তার মা। কিন্তু তাতে তিনি কর্ণপাত করতেন না। একপর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিরা খাতুন তার প্রেমিক শাহ আলমের সঙ্গে বুধহাটা বাজারে ঈদের মার্কেট করতে যায়। রাতে বাড়িতে ফিরে আসার পর স্বামী ও শাশুড়ি মার্কেটে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এরপর সবার অজান্তে গভীর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে তার স্ত্রী মনিরা খাতুন।
এদিকে, মনিরার মৃত্যুর খবর শুনে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিক শাহ আলম। বিষয়টি তার বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় বলে জানান আল আমিন সানা।
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাহ-আলমের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নোমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অধিকতর তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। উৎস: চ্যানেল২৪