আইরিন হক, বেনাপোল(যশোর): এবার ঈদ উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বানিজ্যিক কার্যক্রম টানা ৮ দিন বন্ধের কবলে পড়েছে। আজ কর্ম দিবস শেষে শুরু হবে ঈদ ছুটি। পরবর্তীতে ছুটি কাটিয়ে আগামী ০৫ এপ্রিল থেকে আবারো এপথে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক হবে। তবে ছুটির মধ্যে এপথে বানিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকছে। ঈদের মধ্যে বন্দরে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বন্দর প্রশাসন।
বানিজ্য সংশিষ্ট সুত্রগুলো জানান, সড়ক পথে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ হয় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২৫০ ট্রাকের কাছাকাছি পণ্য রফতানি হয়। এছাড়া দিনে ৫ থেকে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় ১২ হাজার মানুষ বন্দরের উপর নির্ভরশীল। আমদানি বানিজ্য থেকে সরকারের দিনে গড়ে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আসে।
তবে এবার ঈদ উপলক্ষে বন্দরটি ২৮ মার্চ থেকে ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৮ দিনের ছুটির কবলে পড়ছে। এতে বানিজ্য ও রাজস্ব ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে জরুরী পণ্য ছুটির মধ্যে খালাসের সুযোগ থাকবে জানিয়েছে বানিজ্যিক সংশিষ্টরা। এদিকে ৮ দিনের ছুটিতে ঈদ উৎসব পালনে ইতিমধ্যে বেনাপোল। বন্দর,কাস্টমস,ইমিগ্রেশনসহ বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনেকই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে নিরাপত্তা ঘাটতিতে যাতে বন্দরে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার নজরদারির পাশাপাশি আনসার ,বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থা পিমা ও আর্মড পুলিশ নিরাপত্তায় কাছ করছে।
ভারতীয় ট্রাক চালক অশোক কুমার জানান, বাংলাদেশে ৮ দিন ছুটির কারনে তারা পণ্য পরিবহন করতে পারবেনা। বন্দরেই তারা খালাসের অপেক্ষায় থাকবেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান,বেনাপোল বন্দরে হাজার হাজার কোটি টাকা পণ্য সংরক্ষিত আছে। ছুটির মধ্যে অনেকেই ছুটিতে যাবেন। তবে যাতে কোন ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনা না ঘটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহবান জানাচ্ছি।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, ছুটির মধ্যে পাসপোর্টধারী যাতায়াত স্বাভাবিক ও বন্দরের নিরাপত্তা জোরদার রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।।