শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৫, ০২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দরিদ্র কৃষকের জমির পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার অভিযোগ 

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে এক দরিদ্র কৃষকের পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা রইসুল ইসলাম পলাশ মিয়া তার লোকজন দিয়ে ৬০ শতাংশ জমির পেঁয়াজ তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের রাখালতলি গ্রামের কৃষক মো. রুহুল আমিন ফকির।
 
রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট বৃদ্ধ কৃষক রুহুল আমিন দাবি করেন, তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে পৈতৃক সূত্রে দীঘিরপাড় মৌজার ৫১৭ নং খতিয়ানে ৭১৯ নং দাগের ৬০ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। তবে, জমির মালিকানা দাবি করে বিএনপি নেতা, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ মিয়া রোববার সকালে ৩০ /৪০ জন লোক নিয়ে আমার আবাদকৃত ৬০ শতাংশ জমির পেঁয়াজ তুলে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। 
 
এ ঘটনায় কৃষক মো. রুহুল আমিন ফকির বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। 
 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি গ্রামের মৃত আব্দুর রসিদ ফকিরের ছেলে রুহুল আমিন ফকির পৈতৃক সূত্রে উপজেলার দীঘিরপাড় মৌজার ৫১৭ নং খতিয়ানে ৭১৯ নং দাগের ৬০ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছে। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এ জমিতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পেঁয়াজের আবাদ করেন তিনি।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মসজিদে ১০ দিনের এতেকাফে বসেন কৃষক রুহুল আমিন ফকির। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রবিবার সকালে শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রইসুল ইসলাম পলাশ মিয়া, একই ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের মৃত টেপু মিয়ার ছেলে কায়েস মিয়া,দীঘিরপাড় গ্রামের এলাহক মোল্যাসহ ৩০/৪০ জন লোক এসে জোরপূর্বক ওই  আবাদি জমির পেঁয়াজ তুলে নিতে শুরু করে।
 
খবর পেয়ে এতেকাফ ভেঙ্গে  ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৃষক রুহুল আমিন। এ সময় আবাদি জমির পেঁয়াজ তুলে নিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করন তিনি। এসময়  লুণ্ঠনকারীদের হুমকি ধামকিতে  প্রাণ ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বৃদ্ধ কৃষক রুহুল আমিন ।
 
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রইসুল ইসলাম পলাশ মিয়া বলেন, জমিটি আমার মামার, এ জমি নিয়ে মামলা ছিল। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। 
 
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়