শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ০১:২২ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, ফাঁদ পেতে ধরা হলো তিনজন

এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েক নেতা পরিচয়ে। জিম্মিদশা থেকে ব্যবসায়ীকে মুক্ত করতে পরিবারের সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা যোগাড় করার প্রতিশ্রুতিতে টাকা আনতে গিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়লেন চক্রের তিন সদস্য। তবে তিনজনের মধ্যে একজনের নাম পাওয়া গেছে। যার নাম ইমন মোল্লা। খরব : কালের কণ্ঠ।

তিনি নগরীর বসুপাপাড়া এতিমখানা রোডের বাসিন্দা আজগর মোল্লার ছেলে। 
শনিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন দরগা রোডে এ ঘটনাটি ঘটে। ধৃত তিনজনকে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এজন্য বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর আলম।

এদিকে, ফাঁদ পাতা হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন থেকে জানা গেছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা পরিচয়ে জিম্মি করা ব্যবসায়ীর ছেলের মোবাইলে রিং দিয়ে এক কোটি (কোটি উল্লেখ না করে শুধুমাত্র এক উচ্চারণ করা হয়) টাকা চাঁদা দাবি করে বলা হয়, ‘শোনো আমি বলি তোমাকে, গতকালতো তোমাকে একটা কথা আমি বলে আসছিলাম তাইনা? আমি একের কথা বলছিলাম। এ ঘটনা তো আমি ঘটাইনি। নিশ্চয়ই এর ওপরে আরো কেউ না কেউ আছে। এটাতো বোঝো তোমরা।

বা কারোনা কারো সিদ্ধান্তে এটা হচ্ছে। এটা যদি না বোঝো তাহলে তো বোকামি হবে। ঢাকার লোকজন এর সঙ্গে ইনভল্ভ। এখন আমি বলি, গতকালকে আমি তোমাকে বলে আসছি হার্ডভাবে যে, একের নিচে এখানে কোনো সমাধান হবে না। তারপরেও আজকে তোমাদের সার্বিক অবস্থা দেখে আমি ফাইট দিয়েছি, কথা বলেছি, আমি আমার জায়গা থেকে ফাইট দিয়ে বলেছি এক কোনোভাবে সম্ভব না। ফিফটি দিতে হবে।’ 

এভাবে ছয় মিনিট ৫০ সেকেন্ডের কথায় চাঁদাবাজির পুরো চিত্র ফুটে উঠে। ওই চক্রের সঙ্গে ৩০ জন সদস্য রয়েছে বলেও কথোপকথনে বেরিয়ে আসে। রাতে টাকা নেওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান চক্রের তিনজন। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশপাশে অবস্থান করে হাতে-নাতে ওই তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের নিয়ে জিম্মি থেকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

তবে সর্বশেষ জানা গেছে, অপহরণ করা ওই ব্যবসায়ীর নাম নুর আলম (৫৬) এবং তিনি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কেএমপির লবণচরা থানাধীন দরগা রোডে বসবাস করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়।

এদিকে, অপর একটি সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় খুলনা মহানগর যুবদল নেতা মাহবুব হাসান পিয়ারুকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অপরাধী চক্রের মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করে এর সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়