তপু সরকার হারুন শেরপুর জেলা প্রতিনিধি : শেরপুরের সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের সুলতানপুরে অবস্থিত অনুমোদহীন জিহান জিগজ্যাগ ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও ফের চিমনি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে ইটভাটা মালিক কর্তৃপক্ষ। দেশব্যাপী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান উচ্ছেদ অভিযান কে তোয়াক্কা না করে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরদিনই চিমনি স্থাপনের কাজ শুরু করায় জনমনে অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার জিহান জিগজ্যাগ ব্রিকস, বাজিতখিলার উত্তরা ব্রিকসসহ বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা ও আইন কে অমান্য করে গুঁড়িয়ে দেওয়া চিমনির স্থলে নতুন করে চিমনি স্থাপন করছে। আবার অনেকে স্টীলের ৩০/৩৫ ফুট উচ্চতার চিমনি বসিয়ে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার কৃষকেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজিতখিলা ও সুলতানপুর এলাকার কয়েক জন কৃষক জানান, এভাবে স্বল্প উচ্চতার চিমনি বসিয়ে ইট পোড়ানো হলে আবাদকৃত বোরো ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বন্ধ করার পর ফের চিমনি চালু করার রহস্য আমরা বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে সরকার যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জিহান জিগজ্যাগ ব্রিকস এর ব্যবস্থাপক সাইফুলের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমাদের কোন সরকারি অনুমোদন নেই।
বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আনরা অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ার পরও যদি তারা নতুন করে ২০ ফুট চিমনি তৈরী করে পরিবেশের ক্ষতি করে। তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে এর চাইতে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশনা আসতে পারে।