শিরোনাম
◈ মোনাজাতে ‌‘খালেদা জিয়ার নাম না বলায়’ ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি ◈ মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায় ◈ ড. ইউনূসের সঙ্গে শেহবাজ শরিফের ফোনালাপ, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ◈ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড, প্রথমবারের মতো ছাড়াল ৩১০০ ডলার ◈ ঈদের ছুটি: অনেক এটিএম বুথেই টাকা নেই, ভোগান্তিতে গ্রাহক ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান ◈ আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ জয়পুরে মুসলিমদের ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন হিন্দুরা! (ভিডিও) ◈ আয়কর নথিতে দেখাতে হবে ঈদ খরচ  ◈ ঈদের দিনে ফেসবুক বার্তায় যা বললেন সারজিস আলমের

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৪৪ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজশাহীতে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাই শাকিল গ্রেপ্তার

ইফতেখার আলম বিশাল : রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাউসা হেদাতিপাড়া এলাকায় শাশুড়িকে কুপিয়ে ও পানিতে ফেলে হত্যা করার ঘটনায় জামাই শাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে র‌্যাব অভিযানে নামে এবং শাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল আহমেদ (২৩), যার আসল নাম তছিকুল, বাঘা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোঃ সাহাদত আহাদত আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাবের পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। র‌্যাব জানায়, ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট শাকিল আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয় ভিকটিম মোছাঃ মনিকা খাতুনের (২৫)। বিয়ের পর থেকেই শাকিল তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। তবে ১০ মার্চ ২০২৩-এ ভিকটিমের মা রেহেনা খাতুন (৫০) অসুস্থ হয়ে পড়লে মনিকা তার মায়ের কাছে চলে যায়। সে সময় শাকিল তার স্ত্রীকে দা দিয়ে মারপিট করে এবং পরে হুমকি দেয়।

এরপর মনিকা তার মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে এবং নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টেসে কাজ করতে চলে যায়। শাকিল এই সময় তার স্ত্রীর সন্ধানে নারায়ণগঞ্জও যায়, কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।

২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে শাকিল তার শাশুড়ি রেহেনা খাতুনকে প্রথমে দা দিয়ে আঘাত করে, পরে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর শাকিল আত্মগোপন করে দেশজুড়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাবের এ সফল অভিযানে প্রমাণিত হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম দ্রুত এবং সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাকিলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এই ঘটনায় সচেতন মহল বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে সমাজের আরও গভীরে নজর দিতে হবে। পরিবারিক সহিংসতা এবং নারীর নিরাপত্তা নিয়ে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, আইনগত সহায়তা ও বিচার ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করা দরকার, যেন এ ধরনের ঘটনা দ্রুত নিরসন হয়।

এছাড়া, নিহত ভিকটিমের পরিবার এবং সমাজের অন্য সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদানও জরুরি। সমাজের সকল স্তরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়