ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন রাজশাহীর এক নারী ও তার মেয়ে।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন তানোর উপজেলার নবনবী গ্রামের বাসিন্দা রোজিফা খাতুন ও তার মেয়ে বকুল খাতুন। সঙ্গে ছিলেন বকুলের ফুফাতো বোন।
রোজিফা ও তার মেয়ে বকুল আজ একটি ব্যানার নিয়ে সাহেববাজারে দাঁড়ান। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বাঁচতে চাই, নিরাপত্তা চাই, অন্যায়ের বিচার চাই, ধর্ষণের হুমকির বিচার চাই।’
তাদের অভিযোগ, গতকাল সোমবার রাজশাহীর আদালত চত্বর থেকে বকুল খাতুনকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে জহিরুল ইসলাম জহির নামে এক ব্যবসায়ী। জহিরের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তাদের। এর জেরে সম্প্রতি তানোরে রোজিফার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
বকুল জানান, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হলে পরের দিন জামিন পেয়ে যান জহিরুল ইসলাম জহির। জামিনের পর তিনি প্রতিনিয়ত হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে উল্টো হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন জহিরের স্ত্রী তারিনা সুলতানা।
বকুল খাতুনের অভিযোগ, এই মামলায় গতকাল সোমবার আদালতে হাজির হলে আদালত চত্বর থেকে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন জহির। এ সময় লোকজন এগিয়ে এলে রক্ষা পান তিনি। এই ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা মা ও মেয়ে। তারা নিরাপত্তা চান।
অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম জহির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের নামে কে মামলা করেছে আমি জানি না। আমি কোনো মামলা করিনি। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। তারা আমাদের জমি দখল করছে।’
মা-মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’