আল হেলাল, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে শ্বশুড়ের দায়েরকৃত মামলার পলাতক পুত্রবধু নূরজাহানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়,সুনামগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ৭/২৫ নং বিবিধ মামলার আসামী হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জগজীবনপুর গ্রামের আসকর আলী,তার কন্যা নূরজাহান বেগম ও ছেলে জাহির আলীসহ একই পরিবারের ৫ ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র মোঃ আফছর আলী বাদী হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে গত ২১ জানুয়ারি ঐ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করলে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান,এএসআই জহিরুল হক, এএসআই সুজন মিয়া, এএসআই টিপু সুলতান ও নারী কন্সষ্টেবল রুমানা জান্নাত রুমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
এদিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র মোঃ আফছর আলী বলেন,গত ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০/৫০৬ (২) ধারায় আমি বাদী হয়ে আমার পুত্রবধূ নূরজাহান বেগম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আমল গ্রহনকারী জুডিসয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ০৪/২০২৫ইং মামলা দায়ের করি।
গত ২৫ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় আমার পুত্রবধূ নূরজাহান বেগম,আমার বালিশের নিচে থাকা আলমিরার ড্রয়ারের চাবি নিয়ে ভাই আনোয়ারের সহায়তায় তালা খুলে ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ ২ লক্ষ টাকা ও আমার নাতির বিয়ের জন্য রক্ষিত ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে উদাও হয়। পরদিন জগজীবনপুরে গিয়ে ঘটনাটি বেয়াই আসকর আলীকে জানিয়ে নাতির বিয়ের জন্য সংরক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার আমি ফেরত চাই।
কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আসকর আলী,তার মেয়ে ও ছেলের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে আমাকে ফেরত প্রদান করেননি। তাই আমি পুত্রবধূর কাছে প্রতারিত হয়ে মামলা দায়ের করি। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবুল কালাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে গ্রেফতারের পর শনিবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাটানো হয়েছে।