অভিযুক্ত আলমগীর লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর বাঞ্চানগর এলাকার কসাই বাড়ির লেদু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। নির্যাতিত ওই স্ত্রীর নাম রিনা বেগম। ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের ধারণা, অভিযুক্ত আলমগীর বাইরে থেকে মাদক সেবন করে বাসায় এসে নির্যাতন করেছেন।
রিনার ভাই হোসেন আহমেদ জানান, রিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমি ঢাকা থেকে ফিরে মামলা করবো।
তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আলমগীর আমার বোনকে কুপিয়েছে। হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। সে মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনও জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রিনা স্বামীর সঙ্গে কালু হাজী সড়কে সন্তানদের নিয়ে ভাড়া থাকেন। শনিবার রাতে খাবার শেষে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আলমগীর বাসায় এসে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় ধারালো বটি দিয়ে আঘাত করেন। পরে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেন। একপর্যায়ে পাথর দিয়ে দুই হাত ও দুই পা থেতলে দেওয়া হয়। পরে আহত রিনাকে রেখে তিনি পালিয়ে যান।
প্রতিবেশীরা রিনাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদেরকে জানায়নি। তবে সকালে জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।