শিরোনাম
◈ ইসিকে তিন বার্তা দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ◈ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি: প্রথম ৩০ মিনিটে বিক্রি প্রায় ২৬ হাজার টিকিট, হিট ৯৮ লাখ ◈ সাত কলেজের সমন্বয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ ◈ আমাকে হত্যা করতে কর্নেল জিয়াকে নির্দেশ দেয়া হয়! ◈ আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াতে ইসলামী ◈ পানি চেয়েও পাননি আবরার, ঘাতকদের জবানবন্দিতে হত্যার নৃশংসতার বর্ণনা ◈ ঈদের বুকিং শুরু: হেলিকপ্টারে ভাড়া কত? ◈ হাইকোর্টের রায়ের পর যা বললেন আবরার ফাহাদের বাবা ◈ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল ◈ জাতিসংঘের মহাসচিব সফরে এসে বাংলাদেশকে কী বার্তা দিলেন?

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৮ দুপুর
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বকশিশ না পেয়ে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, চমেক হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু

চট্টগ্রাম মেডিকলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বকশিশ না পেয়ে আয়া অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই নবজাতকের বাবা কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালি ইউনিয়নের জারুল বুনিয়া এলাকার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন। 

নবজাতকের পরিবারের অভিযোগ, বকশিশ না দেওয়ায় অক্সিজেনের পানির সরবরাহ বন্ধ করে রাখার কারণে শিশুটি মারা গেছে। এর আগেও শিশুটি খেলা করছিল। এ ঘটনার পর ওই আয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের বিরুদ্ধে বকশিশ ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, তারা প্রয়োজনীয় সেবা পেতে টাকা দিতে বাধ্য হন।  

শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত দিন আগে চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে ওই নবজাতকের জন্ম হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সেখান থেকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ৯ মার্চ চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। গতকাল সকাল ১০টার দিকে শিশুটি স্বাভাবিক আচরণ করছিল এবং খেলা করছিল। একপর্যায়ে অক্সিজেনের পানি শেষ হয়ে গেলে নবজাতকের বাবা বেলাল ওয়ার্ডের আয়াকে নতুন পানি দিতে বলেন। অভিযোগ উঠেছে, বকশিশ না দেওয়ায় ওয়ার্ডবয় অক্সিজেনের পানি সরবরাহ বন্ধ রাখেন। এরপর শিশুটির বাবা-মাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কথা বলে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করানো হয়। পরে যখন তারা প্রবেশের অনুমতি পান, তখন দেখেন শিশুটি মারা গেছে।

শিশুটির বাবা বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার অক্সিজেন লাগানোর  জন্য ২০০ টাকা করে চাওয়া হয়। কিন্তু আজ টাকা না দেওয়ায় আমার সন্তানের জীবন চলে গেল। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনা শোনার পর ওয়ার্ড থেকে ওই আয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে বিভাগীয় প্রধানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কোনো ওয়ার্ডবয় বা আয়া যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকেন, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়