শিরোনাম
◈ পটকা মাছ এক রাতেই ধ্বংস করে দিলো পুরো পরিবার! ◈ সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ◈ রাজধানীতে মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার ◈ আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ কৌশলে রাতে ঘরে ঢুকে চার বছরের শিশুকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণচেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত ◈ সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম ◈ যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারেও ১০ লক্ষাধিক মানুষের খাদ্য সহায়তা বন্ধ হচ্ছে ◈ ঢাবির নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতির কুকীর্তি নিয়ে সাবেক নেতার পোস্ট ভাইরাল ◈ মহাকাশচারীরা কত টাকা আয় করেন, যা জানাগেল

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলন্ত সিএনজিতে ধর্ষণচেষ্টা, নিজেকে বাঁচাতে যা করলো কিশোরী

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত সিএনজিত চালিত অটোরিকশায় কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নিজেকে বাঁচতে কিশোরী সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।

তাঁরা হলেন—দিরাইয়ের রাজনগর ইউনিয়নের জকিনগর গ্রামের মো. তারা খানের ছেলে মো. ইমন খান (২২) ও আব্দুর রউফের ছেলে মো. মিটু মিয়া (২৫)।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সুনামগঞ্জের দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে দিরাই বাজারে কেনাকাটা করতে যায় ভুক্তভোগী মেয়েটি (১৭)। কেনাকাটা শেষে সন্ধ্যার আগে একটি সিএনজি করে বাড়ি ফেরার সময় ওই গাড়িতে আরও দুজন যুবক উঠেন। পরে গাড়িটি মেয়েটির বাড়ির দিকে না গিয়ে দিরাই-মদনপুর সড়কের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। তখন ভুল সড়ক দেখে মেয়েটি গাড়ি থামাতে বলে। কিন্তু গাড়ি না থামিয়ে চলতেই থাকে ও একপর্যায়ে ওই দুই যুবক তার হাত-মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে গণিগঞ্জ বাজার এলাকায় গাড়ি থেকে লাফ দেয়। এ সময় চলন্ত সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে যাওয়ায় তাঁর এক চোখ, মুখ ও হাত থেঁতলে যায়। পরে মেয়েটিকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর বলেন, ‘ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সদর থেকে। কিছু তথ্য পেয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে, কি ঘটেছে সেটা জানার চেষ্টা করছি।’

ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি সঠিক কি না প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘হয়তো শ্লীলতাহানি হতে পারে, হাত ধরতে পারে। এখন দুজনকে আটক করা হয়েছে, একজন সিএনজি চালক, অন্যজন যাত্রী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ভিকটিম এখন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে, লিখিত অভিযোগ এখনো করেনি।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়