শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩৬ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধামরাই আমরাইল এলাকায় মাটি কাটার মহোৎসব

মো:আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে : ঢাকার ধামরাইয়ে রাতভর ঘুমাতে পারছেনা আমরাইল এলাকার বাসিন্দারা। এছারাও বহিরাগতদের হুমকি ও মহড়ায় আতংক বিরাজ করছে এলাকাবাসীদের মাঝে। ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রাম এলাকায় গত ১সপ্তাহে  রাতভর তিন ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করার ফলে মাহিন্দ্র ও ভেকুর শব্দে রাতভর ঘুমাতে পারেনি ওই এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও বহিরাগত লোক দিয়ে এলাকাজুড়ে টহল ব্যবস্থা করেই রাতভর মাটি কাটা সচল রেখেছে বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।

জানা গেছে, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান নবীউল্লাহ  তার জমির মাটি বিক্রি করেছেন একই ইউনিয়ন ভাতকুরা এলাকার ছাত্রদল নেতা জিসান এর কাছে। গেল ১সপ্তাহ ধরে রাতের আধারে সেই তিন ফসলী জমির মাটি কেটে ইটভাটা সহ স্থানীয়ভাবে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায়, মাটি কাটার কারনে রাস্তা খারাপ হয়ে,মোটা ধুলো হয়েছে  এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অনেক কষ্টের। তাদের বাধা দিমুকি তারা তো এখন প্রভাবশালী । তারা বাহিরে থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসে। এজন্য আমরা ভয়ে আছি।

আমরাইল এলাকার  সোলায়মান জানায়, রাতে এশার আজান দিলেই মাটি কাটা শুরু হয়। ফজর আজান দিলে মাটি কাটা শেষ করে রাস্তার মধ্যে সারাদিন ভেকু এনে রাখে। প্রতিবাদ করলে মারার হুমকি দেয়। তারা বাইরের লোক এনে এলাকায় টহল দেয় যাতে কেউ বাধা দিতে সাহষ না পায়। মাটি কাটার কারনে আশেপাশের জমিগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও এই এলাকার একমাত্র রাস্তাটিরও বেহাল দশা হবে।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান নবীউল্লাহ বলেন, আমার জমির মাটি ভাতকুড়া এলাকার ছাত্রদল নেতা জিসান এর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তিনি কিভাবে মাটি কাটছে এটাতার ব্যাপার,আমি বলতে পারবো না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, তিন ফসলী জমির মাটি কোনভাবেই বিক্রি করা যাবে না। যদি কেউ বৈধ অনুমতি নিয়ে পুকুর কাটে তারপরও ওই পুকুরের বা জমির মাটি বিক্রি করতে পারবেনা। খাদ্যের ঘাতটি থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে।  এর কোন বিকল্প নেই।

যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে এলাকাবাসী অসংখ্যবার আমাকে ফোন করে। যার ফলে লোক পাঠিয়েছি। তাদের সাথে ফোনে কথা বলেছি। তারা আমাকে কথা দিয়েছে মাটি কাটবেনা। দিনে কথা দেয় আবার রাতে মাটি কাটে আমি এখন কি করবো। এছাড়া রাতে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনা। 

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, এলাকা থেকে অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরও তারা রাতের আধারে মাটি কাটে। এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে যান। এ বিষয়ে ধামরাই  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও)  মামনুন আহমেদ অনিকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়