চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মারধরের ঘটনায় ‘আমি ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট, আমাকে থানায় নিতে হলে ওসিকে আসতে হবে’ বলা সেই নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে তাকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬নং রুপসা (দক্ষিন) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবী রিজাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম।
পুলিশ জানায়, একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে হয়রানি ও মারধর করে ১৬নং রুপসা (দক্ষিন) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবী রিজা। সেই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর রাতে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় তাকে আটক করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। এসময় ওই এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে তাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা প্রদান এবং অশোভন আচরণসহ পুলিশের মুঠোমফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে আটক করতে যাওয়া পুলিশের উপ-পরিদর্শককে ওই ছাত্রদল নেতা বলেন, আমি ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট, আমাকে থানায় নিতে হলে ওসিকে আসতে বলেন। না হয়, আমি যাবো না।
এদিকে সেই ভিডিও রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। যা নজরে আসে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের।
এই ঘটনায় বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে শাওন কাবী রিজাকে ১৬নং রুপসা (দক্ষিন) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সড়কে যানবাহনের গতিরোধ করে মারধর এবং একই সঙ্গে পুলিশের কাছে বাধা প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় দুপুরে কাবীকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে।