বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মেয়েটির বাবা। এবার সেই বাদীর লাশ পাওয়া গেল বাড়ির কাছের একটি ঝোপে। বাড়ির পাশে ঝোপ থেকে কাদামাখা অবস্থায় বাদীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বরগুনা পৌর শহরে। খবর: আজকের পত্রিকা।
বাদীর স্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার ১ নম্বর আসামি শ্রীজিৎ জেলহাজতে আছে। বুধবার জামিন শুনানির দিন ছিল। ওই আসামির বন্ধু ও তার স্বজনেরা আমার স্বামীকে হত্যা করতে পারে।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী বরগুনা বাজারে ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে তাঁর স্ত্রী ফোন দিলেও সাড়া পাচ্ছিলেন না। পরে পুকুরপাড়ে তাঁর মোবাইল ফোনের রিংটোনের শব্দ শুনে গিয়ে দেখেন, ঝোপের মধ্যে মরদেহ পড়ে আছে। বাদীর পরনের কাপড় ছিল ভেজা, হাতে কামড়ের দাগ ও সারা শরীরে কাদা মাখা। পরে পরিবারের সদস্যরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরিবারের ভাষ্য, ২ মার্চ বাদীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শ্রীজিৎ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে শ্রীজিৎকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি শ্রীজিৎ জেলহাজতে রয়েছেন। আসামির স্বজনেরা তাঁকে হত্যা করতে পারে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।