জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ভোগ দখলীয় জমির সীমানা ভাংচুর করে জবর দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আনিসুল হক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা।
বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনিসুল হক অভিযোগ করেন, পীরগঞ্জ পৌর শহরের মিত্রবাটী মৌজার ১৪ নং খতিয়ান ও ৪৩৬নং দাগের সাড়ে ৪২ শতক জমি তিনি ২০১৮ইং সালে তার স্ত্রী খালেদা পারভীনের নামে ৩১৯০নং দলিল মুলে ক্রয় করে খারিজ করে ভোগ দখল করতে থাকেন। গত ২০২২ইং এবং ২০২৩ইং সালে তার স্ত্রী খালেদা বেগম মিত্রবাটী এলাকার কয়েকজনের কাছে সাড়ে ৪২ শতক জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। পরে তারা নিজ নিজ নামে ওই জমি খারিজ করে ভোগ দখল করে আসছেন।
সম্প্রতি মিত্রবাটী এলাকার জনৈক কিছু মানুষের উস্কানিতে অবরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহাজান আলী এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর মির্জামুল হক সহ কয়েকজন আনিসুল হকের মিত্রবাটী মৌজার ১৯ নং খতিয়ান ও ৪৩৭নং দাগের সাড়ে ৩৫ শতক জমির উপর নির্মাণ করা প্রাচীর ভাংচুর করে বাঁশের বেড়া দিয়ে অন্যায় ভাবে জবর দখল করে নেন।
এ সময় আনিসুল হক ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাঁধা দিলে তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন তারা। ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক কাউন্সিলরের লোকজন আনিসুলের বাড়ির আশে পাশে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছেন।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। এতে আতঙ্কিত হয়ে জীবনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন আনিসুল সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
অভিযোগ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহাজান আলী’র সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এগিয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেন। সাবেক কাউন্সিলর মির্জামুল বলেন, আমি কারো জমি দখল করিনি। আমার বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচর্জ তাজুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে।