পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে এক যুবক। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, আটক ওই যুবক এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। খবর: চ্যানেল২৪
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আটোয়ারী থানার এই চাঞ্চল্যকর নারী ধর্ষণ মামলার অগ্রগতি বিষয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত ভোররাতে উপজেলার রাধানগর গ্রামের তাহিরুল ইসলামের ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। এ সময় তার সহযোগী আরও ২ জন পালিয়ে যায়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলো রাণীগঞ্জ এলাকার মো. ফরিদুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের নামাজপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।
একপর্যায়ে গ্রামবাসী আটক সাজ্জাদকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে (২৭) ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল বলে স্বীকার করে। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবি উদ্ধার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আটোয়ারী থানার কিসমত রেলগেটের পশ্চিম পাশে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে ওই তরুণীর লাশ রেললাইনে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার সাজ্জাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ধর্ষণ ও হত্যকাণ্ডের শিকার ওই তরুণীর এখনও পরিচয় মেলেনি। এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।