মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান শিশুটির মা। খবর: আজকের পত্রিকা।
গত শনিবার বিকেলে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
আজ সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে সেখানে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও হাসপাতালে যাওয়ার কোনো অনুমতি না পাওয়ায় ফোনে কথা হয় শিশুটির মায়ের সঙ্গে।
ফোনে শিশুটির মা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘হাত-পায়ে চাবি দিয়ে আঁচড় দিলে একটু নড়ে। কিন্তু মাথাটা এখনো নাড়াচাড়া করে না। ডাক্তার আমার সামনেই চাবি দিয়ে আঁচড় দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। তখন দেখলাম। ডাক্তাররা বলেছেন, ভালো হয়ে যাবে। তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে তো এই নাড়াচাড়াও করেনি।’
শিশুটির চিকিৎসার জন্য সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ, থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা রয়েছেন বোর্ডে।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে মাগুরায় শিশুটির বড় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান।
ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।