স্বামীর কষ্টে জমানো নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ন নিয়ে পাওয়ার ট্রলি চালক ভাতিজার হাত ধরে উধাও হয়েছেন এক চাচি। চাচি আফরোজা (ছদ্মনাম) বয়স ২১ বছর হলেও ভাতিজা মো. রিফাতের বয়স ১৫।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের হায়দরনগর গ্রামে। ভাতিজার হাত ধরে চাচির নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি এলাকার চায়ের টেবিলে ঝড় তুলেছে। সবার মুখে মুখে এখন এ আলোচনা-সমালোচনা।
থানার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হায়দরনগর গ্রামের মো.ইসমাইলের ছেলে মো. মাহবুব হাসানের আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী আশ্রাফবাদ গ্রামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। এক যুগ ধরে মো. মাহবুব হাডান হোসেন বাঞ্ছারামপুরে একটি বেসরকারি বীমা কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। স্বামীর অফিসে থাকার সুযোগে মাহবুব হাসানের আপন চাচাত ভাই আব্দুল হক সাবের ছেলে ট্রলি চালক মো. রিফাতের সঙ্গে আফরুজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। চাচি-ভাতিজার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দিতে (গত ২ মার্চ) ২য় রমজান রবিবার ইফতারীর পর টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ভাতিজার হাত ধরে নিরুদ্দেশ হন চাচি।
এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে তাদের দুইজনের মোবাইল নম্বর। ছেলের এমন ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন মাহবুব। তিনি এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে মাহবুব হাসান হাসান আজ রবিবার (৯মার্চ) বলেন, আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো কিছুর ঘাটতি ছিল না। আমার ঘরে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি এবং ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ভাতিজার হাত ধরে পালিয়েছে আরিফা।আমি আর এমন বৌ চাই না,আমার টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাই।আর সেজন্য গত পরশু এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে সালিশ ডাকি।কিন্তু, সালিশে মেয়ে পক্ষের কেউ আসেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে আজ মেয়ের মা নাছিমা বেগম মুঠোফোনে বলেন, কি মেয়ে পেটে ধরলাম! এমন মেয়েকে নিয়ে আর প্রশ্ন করবেন না।ওরা কোথায় আছে, আমি জানি না।
ভাতিজা রিফাত ও চাচীর নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তাদের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।