শিরোনাম
◈ গোয়েন্দা নজরদারিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ আমলা, প্রশাসনে আতঙ্ক ◈ শেখ মুজিবের নামে লাখ ডলারের আন্তর্জাতিক শান্তি পদক বাতিল ◈ মধ্যরাতে গুলশানে এইচ টি ইমামের ছেলের বাসায় তল্লাশি (ভিডিও) ◈ দুঃখ প্রকাশ করে জেলেনস্কির টুইট, যা বললেন তিনি ◈ ক্ষমতায় আসা এত সহজ না: নাগরিক পার্টিকে মির্জা আব্বাস ◈ ঈদের আগে প্রণোদনার ৭ হাজার কোটি টাকা চায় বিকেএমইএ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিজনেস এলিট ফোরটি আন্ডার ফোরটি’ পেলেন বাংলাদেশি কাদের ◈ আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি : ডিবি প্রধান ◈ ট্রাম্পের বক্তব্যের পাল্টা বিবৃতি: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ দেখছে না সরকার ◈ পুলিশে ফের রদবদল, সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তা বদলি

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৩৭ রাত
আপডেট : ০৫ মার্চ, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় নাগরিক সেবা ব্যাহত, চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ  

আরিফুজ্জামান চাকলাদার : ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিল অপসারিত হওয়ার পর সরকার কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্য  উপজেলায় সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলার শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে পৌর  নাগরিক সেবার ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে শিক্ষা অফিসে গেলে  এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা রফিকুল ইসলাম। অপরদিকে সমাজ সেবা কর্মকর্তা ঝুমুর সরকারকে অফিসে পাওয়া যায়নি,অফিস রুমে তালা ঝুলছে।

আলফাডাঙ্গা  পৌরসভার সেবা পেতে বাড়তি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশ সনদ পেতে দুই থেকে আড়াই  মাস পর্যন্ত লাগছে। সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, মেয়রের দায়িত্বে প্রশাসক ও কাউন্সিলরের পরিবর্তে সরকারি দপ্তরের প্রধানরা আসায় ঠিকমতো মিলছে না সেবা। কয়েক মাস ধরেই নাগরিক সেবা ঠিকমতে পাচ্ছে না পৌরসভা কার্যালয় থেকে।


পৌরসভায় প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল ইকবাল।কাউন্সিলরের পরিবর্তে ১,২,৫ নং ওয়ার্ড  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা. রফিকুল ইসলাম, ৮,৯ ওয়ার্ড সমাজসেবা কর্মকর্তা ঝুমুর সরকার,৩,৪ নং ওয়ার্ড যুব উন্নয়ন   কর্মকর্তা এ কে এম মাকসুদুল হাসান,  ৬,৭ নং ওয়ার্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাহাত ইসলাম দ্বায়িত্বে আছেন।

ভুক্তভোগী ১নং ওয়ার্ড আসমা দেড় মাস,সালেহা ১ নং ওয়ার্ড  এক মাস,  ৫ নং ওয়ার্ড ইছাপাশা আড়াই মাস রুবাইয়া, ২ নং ওয়ার্ড আল-আমীন তালুকদার এক মাস সহ নাগরিক সনদ  জন্য ঘুরছে।বেদনা ৪ নং ওয়ার্ড সার্টিফিকেট, সিয়াম ৪নং ওয়ার্ড এক মাস  নাগরিক সনদ, ২ নং ওয়ার্ড ওবাদুর দেড় মাস নাগরিক ও ওয়ারিশ সনদ। 

পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত  বলেন, সনদের কোনো আবেদন পৌরসভার দায়িত্বরত কর্মচারী গ্রহণ করে ভেরিফিকেশনের জন্য নেন কাউন্সিলরের কাছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেন অফিসের দু’জন কর্মকর্তাকে। তারা সম্মতি দিলেই অনুমোদন দেন কাউন্সিলর। আবার কাউন্সিলর বাইরে থাকলে তাঁর কর্মস্থলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ফলে এখন একটি আবেদন অনুমোদনে চারটি ভেরিফিকেশন লাগছে। অথচ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি একবার ভেরিফিকেশন সই দিলেই অনুমোদন হয়ে যেত।

খোজ নিয়ে যানা যায়, ঝুমুর সরকার নিয়মিত অফিস না করায় তার টেবিলের নাগরিক সেবার আবেদন অপেক্ষার পর অপেক্ষায় থাকতে হয়।
শিক্ষা অফিসার মোহা. রফিকুল ইসলাম অমনোযোগী হওয়া ঠিক মত মিলছে না সেবা।সমাজ সেবা অফিসার  ও নির্বাহী প্রকৌশলী  হাতে কোন ফাইল আটকে থাকে না, নিয়মিত স্বাক্ষর হয়। 

পৌর দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্য ঝুমুর সরকারকে মুঠোফোনে কল দিলে  বলেন ভাই আমি আপনার ছোট বোনের মত নিউজ করার দরকার নেই।কাল অফিসে আসেন কথা বলবো।বারবার সেবা ভোগান্তি কথা  জানতে চাইল উত্তর না দিয়ে একই কথা বলে।আরো বলেন আমার মা অসুস্থ আমি তিনদিন ছুটিতে আছি,পরে কথা বলবো।
আরেক দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্য মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি নিয়মিত অফিস করি,সকল কর্মকর্তার পরে যাই, কর্মের কোন কাজই ফাঁকি দেইনা।সাংবাদিক ভাই দেখেন আমার টেবিলে কোন ফাইল স্বাক্ষর করতে বাকী নেই। উদ্যোতা ঠিকমত অফিসে আসেন না ও টিসিবি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রাসেল ইকবাল বলেন,ইউএনও হিসাবে সদ্য যোগদান ও পৌর দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেবা প্রাপ্তি ভোগান্তির অভিযোগ আজই শুনলাম,তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দিবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়