শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৫, ০৯:১৪ রাত
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বোয়ালমারীতে লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি  গাছ কেটে নিলেন আ.লীগ নেতা

আরিফুজ্জামান চাকলাদার : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় দেড় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিলেন আ.লীগ নেতা।
 
একই উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ওয়ালিউর রহমানের বিরুদ্ধে এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকা সমমূল্যের মেহেগুনী গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 
 
গত শুক্রবার ও শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী ও ১মার্চ) দুই দিন ধরে টুংরাইল গ্রাম হতে সুতালিার রুপাপাত মেইন সড়কের সংযোগ সড়কে মোটা মোটা ছয়টি মেহগনি গাছ কেটেছে,  যার আনুমানিক  মূল্য দেড় লক্ষ টাকার হবে।
 
সৈয়দ ওয়ালউর রহমান বনমালিপুর গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সন্তান ও রুপাপাত ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।
 
 স্থানীয়দের সূত্রে  জানা যায়,অলিয়ার রহমান  ১ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। বাকি ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের গাছ নিজের বাড়ির ফার্ণিচার বানাতে বাড়ির সামনে স্তুপ করে রেখেছে। রাস্তার পাশ থেকে গাছ গুলো কেটে গাছের গোড়ায় খড়কুটোর দিয়ে ঢেকে রেখেছে।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান ও তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার পাশ থেকে এর আগেও  লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি।আওয়ামীলীগের সরকার পতনের পরেও তিনি কোন ক্ষমতার বলে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 
 
সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান বলেন,এ্যসিল্যান্ড অফিসে আবেদন করেছি।আর এই গাছগুলো আমার লাগানো,এখন সরকারি হয়ে গিয়েছে।প্রশ্নের উত্তরে আরো বলেন,এখনো অনুমতি পাইনি আর শুক্র,শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় গাছের লেবার পাওয়া যায় বলে গাছ গুলো কেটেছি। আমার ভূল হয়েছে,আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। 
 
ইউনিয়ন আ. লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়ালিউর রহমানের ছেলে সৈয়দ ফজলুর রহমান বলেন, "এভাবে গাছ গুলো কাটা আমাদের ভূল হয়ে গেছে। গাছ গুলো নিজেদের কাজে ব্যবহার করবো বলে কেটেছে।ভাই আমাদের সম্মান আছে এ নিয়ে নিউজ করবেন না। 
 
এলজিইডি প্রকৌশলী পূর্ণেন্দু সাহা বলেন, সরকারি অর্থায়ণে এলজিইডি রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধণে রাস্তার পাশে নানা প্রজাতের কাঠ ও ফলজ গাছ রোপণ করা হয়। সেটার দেখা শোনা করবে স্থানীয় লোকজন। তবে গাছ কাটার বিষয়টা আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। গাছ যারা কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, এই গাছ বন বিভাগের না,সম্ভবত এলজিইডির গালানো গাছ। উপজেলা থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। লোকেশান দিন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়