কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের কানুনগোখীল বেড়িবাঁধ এলাকায় চুরিকাঘাতে রিক্সা চালককে জাহিদুল ইসলাম জাহেদ (২০) খুনের প্রধান আসামিকে রবিবার (২ মার্চ) ভোর সকালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের আতুরার ডিপু এলাকা থেকে খুনি মো: আরমান (২১) কে গ্রেফতার করেছে। চুরিকাঘাতে নিহত রিক্সা চালক জাহিদুল ইসলাম জাহেদ (২০) বাঁশখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া গ্রামের মৃত হাবিব উল্লাহর পুত্র। অপরদিকে এ ঘটনায় খুনি সরলের ৭নং ওয়ার্ডের কানুনগোখীল এলাকার আনু মিয়ার পুত্র মো:আরমান (২১)।
স্থানীয় ও থানা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, জুয়া খেলে নিজের প্রায় ৩৫ হাজার টাকা নষ্ট ও দার দেনা করে সরলের ওয়ার্ডের কানুনগোখীল এলাকার মো:আরমান। সে দেনা পরিশোধের জন্য পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শনিবার (১ মার্চ) রাতে পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকা থেকে ১৫০ টাকায় জাহিদুল ইসলামের রিক্সা ভাড়া করে কানুনগোখীল যাওয়ার জন্য। সেখানে পৌঁছার আগে নির্জনস্থানে গাড়ির পিছন থেকে রিক্সা চালক জাহিদকে এলোপাতারি চুরিকাঘাত করে। তাতে সে চিৎকার করে গাড়ি থেকে পড়ে গেলে গাড়ি না নিয়ে আরমান পালিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার সময় তার ব্যবহার করা বাটন মোবাইলটি ফেলে যায়।
এদিকে রিক্সা চালক জাহিদদের চিৎকারে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত জাহেদকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অনিক বড়ুয়া। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনার পর রাতে পুলিশ লাশ সনাক্ত করার পর তদন্তে নেমে এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত বাটন মোবাইল এর সুত্রে ধরে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় জাহিদুল ইসলাম খুনের প্রধান আসামিকে রবিবার (২ মার্চ) ভোর সকালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের আতুরার ডিপু এলাকা থেকে খুনি মো: আরমান কে গ্রেফতার করে। এ সময় বাঁশখালী থানা পুলিশের বিশেষদল অংশগ্রহন করে। এ ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলাম এর মা সাদেকা বেগম(৪৪) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে এবং অপরদিকে ঘটনায় আটক মো:আরমান এর জবানবন্দি গ্রহন করার পর রবিবার বিকালে আদালতে সোর্পদ করে বলে জানান।
উল্লেখ্য জাহিদুল ইসলাম জাহেদ এর পিতা বাঁশখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া গ্রামের হাবিব উল্লাহ বিগত দু,মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসাবে রিক্সা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে বলে পরিবার সুত্রে জানা যায়।