শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০১ বিকাল
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে রমজান ব্যাপী ন্যায্য মূল্যের বাজার শুরু, ক্রেতাদের স্বস্তি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : প্রতিবছর রমজান মাসে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে অস্বস্তিতে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে নিভৃতে কাঁদে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রমজান মাসব্যাপী শুরু হয়েছে ‘ন্যায্য মূল্যের বাজার’। যেখানে মাছ, মাংস থেকে শুরু করে সকল ধরনের নিত্যপণ্য মিলবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এমন আয়োজন চলবে প্রতিটি উপজেলাতেও।

রোববার (০২ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে ফরিদপুর জেলা শহরের আলীপুর হাসিবুল লাবলু সড়ক সংলগ্ন পরিত্যাক্ত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্ত্বরে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা।  এ সময় পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই চত্ত্বরে বসেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের পশরা। যেখানে দেখা যায়, গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, ডিম, দুধ, ফল ও সবজির দোকান। এছাড়াও বিভিন্ন পশরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। এমন আয়োজনের খবরে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য মূল্যে বাজার শেষে স্বস্তির কথা জানান তারা।

এই বাজার থেকে এক কেজি গরুর মাংস ৬৮০ টাকা ক্রয় করেন সিলভী জামান নামে এক নারী ক্রেতা। তিনি জানান, বাজারে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখানে এসে মাত্র ৬৮০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। এখানে সবকিছুই স্বাচ্ছন্দে কিনতে পেরেছি। এটি আমাদের মতো মানুষের জন্য খুবই ভাল উদ্যোগ এবং জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানোর যোগ্যই। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি সোনালী মুরগি ২৯০ টাকা, বেগুন ৩০, সিম ৩০, তরমুজ ৬৫, প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকা, খেজুর প্রকার ভেদে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি পণ্য অন্যান্য বাজারের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কম মূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। 

মনিরুজ্জামান রনি নামে আরেক ক্রেতা বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে জেলা প্রশাসন সুন্দর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। এখানে সবকিছুই বাজারের তুলনায় কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের সাধ্যের মধ্যে এখানে মাছ, মাংস থেকে সব কিছু কিনতে পারব।

এসবের পাশাপাশি জেলা খাদ্য অফিস কর্তৃক সেখানে বসেছে সরকার পরিচালিত ওএমএস দোকান। যেখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ক্রেতার মাঝে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে বলে ব্যানারে টাঙানো দেখা যায়।


এমন উদ্যোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ভোক্তাদের স্বস্তি দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ থেকে শুরু হয়েছে ন্যায্য মূল্যের বাজার। জেলা শহরের বাইরেও প্রতিটি উপজেলা সদরে একটি করে বাজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্যে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং রমজান মাস যে আত্মশুদ্ধির মাস সেই বার্তা ব্যবসায়ীদের পৌঁছে দেয়া। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়