শিরোনাম
◈ মার্চ মাসে সরকারি ছুটি কয়দিন? ◈ আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগ-বিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, সংঘাত পরিহার করি:  প্রধান উপদেষ্টা ◈ সরকারে প্রতিনিধিত্বকারী সব ছাত্রকে পদত্যাগের আহ্বান নুরের (ভিডিও) ◈ ডিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক যেনো পরিশোধ করা হয়: তামিম ইকবাল ◈ ৬০ হাজার বছর চলার মতো জ্বালানির সন্ধান পেয়েছে চীন ◈ পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ চায় এনবিআর  ◈ রমজানের তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া ◈ ৪২ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করে কোচ মরিনহোর মামলা ◈ ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে দেশে ফিরলো বাংলাদেশ দল ◈ জামায়াত আমিরের হোটেল বন্ধের আহ্বানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত : ০১ মার্চ, ২০২৫, ০৩:২০ দুপুর
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজশাহী নগরীতে অদ্ভুত ব্যবসা, মাসে আয় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা

ইফতেখার আলম বিশাল : রাজশাহী নগরীতে একটি অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় ব্যবসার পরিচয় পাওয়া গেছে, যেখানে জেলখানা ও হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার বিক্রি করে হাজার টাকা আয় করছেন শামিম হোসেন। নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার গুড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা শামিম পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। প্রতিদিন রাজশাহী নওদাপাড়া সিটি হাটে করপোরেশনের বিশাল জায়গায় ময়লার ভাগারে জড়ো হওয়া উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে তিনি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।

এখানে, সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে ময়লা আনা হয়, যার মধ্যে একটি অংশ জেলখানা ও বিভিন্ন হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার হিসেবে আলাদা করা হয়। এই খাবারটি পরবর্তীতে শামিমের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়, যারা তা মাছের ফিড হিসেবে ব্যবহার করেন।

শামিমের কর্মীরা, মুরাদ ও নাসির, প্রতিদিন এই উচ্ছিষ্ট খাবার আলাদা করে বস্তায় ভরেন। তাদের কাছে জানা যায়, সপ্তাহে দুইদিন, শুক্রবার ও শনিবার, প্রায় ৩২০ বস্তা অর্থাৎ মাসে ১২৮০ বস্তা উচ্ছিষ্ট খাবার সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি বস্তা ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। আর এই খাবারটি মাছের জন্য অত্যন্ত উপকারী, যা মাছের দ্রুত গ্রোথ নিশ্চিত করে। এক বস্তা মাছের ফিডের দাম ৫ হাজার টাকা হলেও এই উচ্ছিষ্ট খাবারের চাহিদা বেশি, কারণ এটি অনেক সস্তা এবং কার্যকরী।

লেবার মুরাদ জানান, “এ খাবারে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয় এবং মাছগুলো খাবারের জন্য একদম হুমড়ি খেয়ে পড়ে।” মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি লাভজনক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শামিম হোসেন জানান, এই ব্যবসা থেকে তার মাসে আয় হয় প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। তিনি জানান, “এই উপার্জন আমার পরিবারের জন্য অনেক সহায়ক। আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি দূর হয়েছে এবং সংসারে সুখ-শান্তি এসেছে।”

এই ব্যবসার মাধ্যমে, শামিম এবং তার সহযোগীরা যেমন তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন, তেমনি এটি শহরের পরিবেশও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করছে। এভাবে একটি সামাজিক অবস্থা থেকেই ব্যবসা তৈরির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শামিমের মতো উদ্যমী উদ্যোক্তা।

শামিমের সাফল্যের গল্পটি প্রমাণ করে যে, সঠিক ব্যবসায়িক চিন্তা, উদ্ভাবনী ধারণা ও শ্রমের মাধ্যমে যে কেউ তার জীবনকে বদলে দিতে পারে। এটি শুধু তার জীবনের নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি উৎসাহজনক উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়