শিরোনাম
◈ গোপনে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের সম্পদের সাম্রাজ্য: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন ◈ রোজায় দিনে হোটেল বন্ধ রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের ◈ যে কারণে পদত্যাগ করলেন শিল্পকলা মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ! (ভিডিও) ◈ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপ ◈ ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন জস বাটলার ◈ ভোটে সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মাঝ আকাশে অক্সিজেন স্বল্পতা, জরুরি অবতরণ ◈ বৃষ্টিতে খেলা পরিত্যক্ত, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ◈ অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরকে যে নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ ◈ ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০৬ দুপুর
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬ বছরের শিশুকে লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার পরে হত্যা, যেভাবে ধরা পড়ল আইসক্রিম বিক্রেতা

আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে ছয় বছরের শিশুকে আমবাগানে নিয়ে যান বিক্রেতা। সেখানে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। চিৎকার দিলে শিশুটির নাক-মুখ চেপে হত্যা করেন। এরপর সেই লাশ বস্তায় ভরে পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই আইসক্রিম বিক্রেতা এসব তথ্য জানিয়েছেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি গ্রাম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরদিন বুধবার অপহরণ মামলা করে শিশুটির পরিবার। ওই মামলায় আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে শিশুটির বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। খালাতো বোনের সঙ্গে সেদিন বিকেলে বের হয় সে। মাহফিলকে কেন্দ্র করে পাশেই খেলনা, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের অস্থায়ী দোকান বসেছিল। খালাতো বোন চলে আসতে চাইলে সেখানে থাকার বায়না করে শিশুটি। একপর্যায়ে তাদের এক বড় ভাইয়ের কাছে শিশুটিকে রেখে চলে আসে তার বোন। সেখান থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শিশুটির স্বজনেরা জানতে পারেন, শেষবার তাকে আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বিরের সঙ্গে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাব্বির সন্দেহজনক জবাব দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে পিটুনি দেন এলাকার লোকজন। পরে সাব্বিরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন আজ শুক্রবার সকালে বলেন, অপহরণ মামলায় সাব্বিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে তাঁকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শিশুটিকে হত্যা এবং হত্যার পর লাশ গুমের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন। আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাত দুইটার দিকে একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাব্বির ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য লাশটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সাব্বিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে শিশুটির চাচা বলেন, ‘শিশুটির বাবা বিদেশে থাকে। ওর মা প্রায় অচেতন হয়ে আছে। বাচ্চা একটা মেয়ের সঙ্গে এমন নির্মমতা হলো। আসামি সাব্বিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার ঘটনাটি জানতে পেরে আজ ভোরে সাব্বিরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের পর ঘরের মালামাল বাইরে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। উৎস: প্রথম আলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়