কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সড়কে পাওয়া হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি ) কপি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। নষ্ট করা বা পরিত্যক্ত কার্ড কীভাবে বাইরে গেছে, তার সঠিক তথ্য বের করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন লোক শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খবর দেয় চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালীস্থ সড়কের উপর বিপুল এনআইডি কার্ড পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্ডগুলো উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এনআইডিগুলো ২০০৮ সালে হালনাগাদ করা। অনেক পরে এনআইডিগুলোর বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর পুরোনো প্রাথমিকভাবে তৈরি করা কার্ড নষ্ট করে ফেলা হয়। সেই নষ্ট করা এনআইডি কীভাবে বাইরে গেছে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রশাসক তদন্তের গতি আরও বাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সড়কে হাজার হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র কোথা থেকে এলো সে বিষয়ে মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জেগেছে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার। রাষ্ট্রের কাছে আমরা সব তথ্য দিয়েছি। এসব অতি গোপনীয় তথ্য সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের। গুরুত্বপূর্ণ এনআইডি এভাবে সড়কে ফেলে দেওয়া খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগের।
স্থানীয়রা আরও জানান, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নাগরিকেরা ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। পুরোনো এনআইডি জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে হয়। নির্বাচন অফিসের সেসব পুরোনো এনআইডি পুড়িয়ে ফেলার বিধান রয়েছে। ইসির উপজেলা কার্যালয়ের সহযোগিতা না থাকলে এসব এনআইডি অফিস থেকে বের হওয়ার কথা নয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এনআইডি কার্ড কীভাবে বাইরে গেছে সে তথ্য দ্রুত উদঘাটন করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইসিটি অফিসার, ডিজিএফআই চকরিয়ার ফিল্ড অফিসার ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ফিল্ড অফিসার।