শিরোনাম
◈ ‌‌‘একটি দলের নেতা মাইকে চাঁদাবাজির ঘোষণা দিয়েছে, এতে অন্যরাও উত্তসাহিত হচ্ছে’ (ভিডিও) ◈ কক্সবাজারের চকরিয়া রাস্তা হাজারো এনআইডি কার্ডে সয়লাব! তদন্ত কমিটি গঠন ◈ কাবাডি সিরিজে নেপালের বিরুদ্ধে ২-১ এ এগিয়ে বাংলাদেশ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার  ◈ গাজীপুরের একটি রিসোর্ট থেকে ৪৪টি বন্য প্রাণী উদ্ধার ◈ মুশফিক ও রিয়াদের আউটের ধরন নিয়ে সমালোচনায় ভারতের ওয়াসিম জাফর ◈ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮১টি ডট বল খেলার যে ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক শান্ত ◈ ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, আইনশৃঙ্ঘলা ঠিক করতে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার ◈ যেকোন পরিস্থিতিতে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রিন্স ◈ তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করতে হলে ওজু করবেন : বুলু (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:৩৩ রাত
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম : ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে বাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান। রমজানে ইফতারের সময় ফলের চাহিদা থাকে। তাই ফলের উচ্চমূল্যের কারণে গরিব ও মধ্যবিত্তশ্রেণীর পক্ষে বিদেশি ফল কিনে খাওয়াটা কষ্ট হয়ে যাবে বলছেন ভোক্তারা।

তাজা ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে আমদানি করা ফল অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ফলে  রমজান ঘনিয়ে এলেও চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফলের আড়তে কমেনি দাম। উল্টো আমদানি কমেছে। বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে ফল।

ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে ফলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।  সরকার গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় দাম বেড়ে গেছে। এতে ফল বিক্রি কমে গেছে। বর্তমানে আমদানি করা ফলে কেজি প্রতি ১৩৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নেওয়া হচ্ছে। প্রতি কার্টনে আপেল, কমলা, আঙুর ও মাল্টার দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।


চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আপেল আমদানি হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন, কমলা  ও মাল্টা আমদানি হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৯৯ টন, আঙুর আমদানি হয়েছে ২৯ হাজার ৮৮৮ টন ও নাশপাতি আমদানি হয়েছে নয় হাজার ৬৫৩ টন।

একইভাবে চলতি বছর ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (জুলাই ২০২৪ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) আপেল আমদানি হয়েছে ৬৯ হাজার ৪১৫ টন, কমলা  ও মাল্টা আমদানি হয়েছে ৮৭ হাজার ২৯৮ টন, আঙুর আমদানি হয়েছে ২৮ হাজার ৭৫৩ টন ও নাশপাতি আমদানি হয়েছে দুই হাজার ৮৫১ টন।

এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে আপেল আমদানি হয় ছয় হাজার ৬০০ টন, আগস্টে ছয় হাজার ৪৫২ টন, সেপ্টেম্বরে আট হাজার ১০০ টন, অক্টোবরে আট হাজার ৭৭৫ টন, নভেম্বরে ১১ হাজার ৬৯৮ টন, ডিসেম্বরে ১১ হাজার ২২৮ টন, জানুয়ারিতে ১১ হাজার ২০৪ টন ও ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৩৫৮ টন আমদানি হয়। একই অর্থবছরের জুলাই মাসে কমলা ও মাল্টা আমদানি হয় সাত হাজার ৯২৫ টন, আগস্টে আট হাজার ৪৭ টন, সেপ্টেম্বরে ১৭ হাজার ৬৯৩ টন, অক্টোবরে ১৪ হাজার ১৭৩ টন, নভেম্বরে ১০ হাজার ৯৬৫ টন, ডিসেম্বরে ১০ হাজার ৮৩৭ টন, জানুয়ারিতে ১০ হাজার ৩৯৬ টন ও ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত হাজার ২৬২ টন। আমদানি হওয়া আঙুরের মধ্যে জুলাই মাসে দুই হাজার ৬৮০ টন, আগস্টে দুই হাজার ৬৬৯ টন, সেপ্টেম্বরে চার হাজার ৮১৫ টন, অক্টোবরে ছয় হাজার ৮০৩ টন, নভেম্বরে পাঁচ হাজার ৪৮৯ টন, ডিসেম্বরে চার হাজার ৬৮৯ টন, জানুয়ারিতে এক হাজার ৫০৮ টন ও ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০০ টন। এ ছাড়া জুলাই মাসে ১৪৮ টন নাশপাতি, আগস্টে ৪২৩ টন, সেপ্টেম্বরে ৩৩৮ টন, অক্টোবরে ৪৪৪ টন, নভেম্বরে ৬১২ টন, ডিসেম্বরে ৪৪৪ টন, জানুয়ারিতে ২৫২ টন ও ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৯০ টন আমদানি হয়।


চট্টগ্রাম পাইকারি বাজার ফলমন্ডি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ফলমন্ডি আড়তে ১৫ কেজির মাল্টার কার্টন বিক্রি হয়েছে তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৩০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতি কেজি মাল্টা ২০০ থেকে ২২০ টাকা পড়ছে, ২১ কেজির সবুজ আঙুর বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকায়, প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২১৫ থেকে ২৩০ টাকা, ২১ কেজির কালো আঙুর বিক্রি হয় পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকায়। কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, চীন থেকে আমদানি করা ২০ কেজির আপেলের কার্টন বিক্রি হয় চার হাজার ৫০০ টাকায়। প্রতি কেজি ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, ইউক্রেনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা ১৮ কেজির আপেলের কার্টন বিক্রি হয় পাঁচ হাজার ৫০০ টাকায়। প্রতি কেজির দাম ২৭৮ টাকা, নয় কেজির নাশপাতি বিক্রি হয় দুই হাজার ৫০০ টাকায়। কেজি প্রতি পড়ছে ২৭৮ টাকা। আট কেজি প্যাকেটের কমলা বিক্রি হয় এক হাজার ৯০০ টাকায়। এতে কেজি প্রতি দাম পড়ছে ২৪০ টাকা।
পাইকারির চেয়ে খুচরায় প্রত্যেক ফলের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।


খুচরা ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ কামাল হোসেন  বলেন, পাইকারীতে দীর্ঘদিন ধরে ফলের দাম বাড়তি রয়েছে ফলের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে রমজানে দাম বাড়তি থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়