শিরোনাম
◈ বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: কারাগার থেকে পালিয়েছেন ফাঁসির আসামি জেমি ◈ সাজেক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করে প্রশাসনের বার্তা ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ◈ শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল ◈ দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা দরকার: তারেক রহমান ◈ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আসায় ক্ষতির মুখে দেশীয় টেক্সটাইল মিলস ◈ সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অনিশ্চয়তা! ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আন্দোলনে আমাদের সংহতি রয়েছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ  ◈ বিএনপির বর্ধিত সভায় চার হাজার লোকের সমাগম হবে, তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন : এ্যানী ◈ নিউজিল্যান্ডকে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের চাহিদা বাড়ায়, জনপ্রিয় হচ্ছে চিনা চাষ

অনিরুদ্ধ রেজা,কুড়িগ্রাম : এক সময়ের অবহেলিত ফসল চিনা এখন ব্যাপক পরিসরে চাষ হচ্ছে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলে। বাজারে চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে এই ফসলের পরিধি। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় চিনা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। অল্প খরচে চিনার আবাদ হওয়ায় কৃষকদের চিনা চাষে উদ্বুদ্ধ করার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল জুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী রঙের চিনা। চলতি মৌসুমে জেলার নদ নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে ব্যাপক পরিসরে চাষ হচ্ছে এ ফসলটি। পলি মিশ্রিত বালু মাটিতে স্বল্প সেচের মাধ্যমে চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে চিনার উৎপাদন ব্যয় কম ও বাজারে চাহিদা থাকায় প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে চিনা চাষের পরিধি। এক সময় পাখি ও গো খাদ্যে হিসেবে পরিচিত চিনা এখন বিলাসী খাবারেও পরিনত হয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের ২৫৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে চিনা। কৃষকরা জানান, চিনা উৎপাদনে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। এক বিঘা জমিতে চিনা উৎপাদনে সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৯-১০ হাজার টাকা। আর প্রতিবিঘা জমিতে চিনা উৎপাদন হয় ৭-৮ মণ। বাজারে প্রতিমণ চিনা বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ হাজার টাকা। এতে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় চিনা চাষে ঝুঁকছেন তারা।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা চরের কৃষক সাহেব আলী বলেন, আমাদের চরাঞ্চলের পলি মিশ্রিত জমিতে স্বল্প সেচে মাধ্যমে আবাদ করা হয়েছে চিনা। ফলন ও বাজার দর ভালো থাকায় চরে আমরা অনেকে চিনা চাষ করছি। আশা করা হচ্ছে চিনা বিক্রি করে ভালোই লাভবান হতে পারবো। আমাদের চরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে আরও বেশি লাভ করা যেতো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার যে সকল জমিকে সেচের সুবিধা কম, সে সমস্ত জমিতে আমরা চিনা চাষের পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিশেষ করে চরে চিনা বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। চিনা খুব লাভজনক ফসল। পূর্বে চিনা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ ফসল ছিল না। সময়ের ব্যবধানে চিনা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে যে জাত গুলো পাচ্ছি, তা কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। শতভাগ যদি এই জাতগুলো কৃষকদের মাঝে
পৌঁছে দেয়া যায়, তাহলে কৃষকরা চাষ করে আরও লাভবান হতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়