জিল্লুর রয়েল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আঞ্চলিক পাকা সড়কগুলোতে সামান্য বৃষ্টির পর কাদায় মাখামাখি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক পাকা সড়কে বৃষ্টির আগে ধুলা এবং বৃষ্টির পর কাদায় মাখামাখি অবস্থা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে।
স্থানীয়দের দাবি, ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন এবং খনন করা মাটি পরিবহন করার সময় ট্রাক্টর থেকে পাকা সড়কে পড়ে এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পরেছেন সড়কে চলা বাস, ট্রাক, অটো রিক্সা, ইজিবাইক, ভ্যান, মোটর সাইকেল চালক ও পথচারিরা। পাকা সড়কে কাদার কারণে ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার সকালের বৃষ্টিতে নন্দীগ্রাম-শেরপুর পাকা সড়ক এখন কাদার সড়কে পরিণত হয়েছে। ট্রাক্টর থেকে সড়কে পড়া মাটিতে বৃষ্টি পরে সড়কে কাদায় মাখামাখি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধীরগতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন।
শেরপুর থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল মোমিন বলেন, এই সড়কে আমি নিয়মিত চলাচল করি। ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য ভরাটের কাজে ট্রাক্টরে করে মাটি বহনের সময় পাকা রাস্তায় পড়ে থাকে। সেই মাটি রোদের সময় শুখে প্রচন্ড ধুলা আর বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হয়। ধুলা হলো কষ্ট করে চলাচল করা যায় কিন্তু পাকা রাস্তায় কাদা হওয়ায় চলাচল করা যাচ্ছে না।
এনামুল হক নামের একজন ট্রাক চালক বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় পড়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এবিষয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোহান সরকার বলেন, অবৈধ মাটি কাটার ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দোষীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। পাকা সড়কে মাটি ফেলে কাদায় বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।