জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :অবসরের বিষন্নতা কাটিয়ে ১৫ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন লক্ষ্মীপুরের রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পুষ্প রাণী দাস। বুধবার (১৯ফেব্রুয়ারী) বিকেলে অবসরজনিত কারণে ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিদায় সংবর্ধনর আয়োজন করা হয়। এসময় কর্মস্থল থেকে একটি গাড়ী করে নিজবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় পুষ্পকে।
এর আগে দীর্ঘদিন কর্মরত পুষ্প রাণী দাসকে বিদায় জানাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে প্রতিষ্ঠানে আসেন হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ড. হাকীম মোহাম্মদ ইউসূফ হারুন ভূঁইয়া এবং রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন। আয়োজন করেন বিদায় সংবর্ধণার। সেখানে স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য শেষে নগদ অর্থ, ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেওয়া হয়। শেষে নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করেই তাকে (পুষ্প) বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে এমন আয়োজন দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুষ্প রাণী দাস।
রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুষ্প রাণী দাস কর্মজীবনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন প্রতিষ্ঠানকে। বিদায়ের কষ্ট কিছুটা কমানোর জন্যই ব্যতিক্রমী এমন আয়োজন করা হয়েছে। আমি তার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি।
বিদায় সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুবে আনোয়ার, পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিনুল মোমেনিন মানিক, হামদর্দ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার কামরুল হুদা সবুজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম খান সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
পুষ্প রাণী দাস ২০১০সালে রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে।
আপনার মতামত লিখুন :