শিরোনাম
◈ অনিশ্চিত আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ ◈ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরে বাংলাদেশের ক্ষতি ৩০০ কোটি ডলার ◈ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাবের শেষ দিন শনিবার, দিতে হবে যেসব তথ্য ◈ ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি  ◈ খালেদা জিয়া ঈদের পরেই বাংলাদেশে ফিরবেন : যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপির সভাপতি ◈ আজ মুসলমানদের সৌভাগ্যের রজনী, পবিত্র শবে বরাত ◈ বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে ড. ইউনূস-ইলন মাস্ক আলোচনা ◈ নির্বাচনের আগে সংবিধানের বেশ কিছু বিষয় অবশ্যই সংশোধন করা সম্ভব: আলী রীয়াজ ◈ নিয়োগ বাতিলের আবেদন করেছেন নিউরোসায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে: জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০১ রাত
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধুপুরে ইসলামী দলগুলোর তোপের মুখে লালন উৎসব পন্ড

লিয়াকত হোসেন জনী, মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের বাধার মুখে লালন স্মরণোৎসব স্থগিত করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ লালন স্মরণোৎসব হওয়ার কথা ছিল।

এ উৎসব উপলক্ষে  মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে মঞ্চ তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়েছিল। এ দিন দুপুরে মাইকিং করে উৎসব স্থগিত করা হয় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে। লালন সংঘের সভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা লালন সংঘ প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত বছরগুলোতে  মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে লালন স্মরণ উৎসব করে আসছি ।  এ বছরও লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’

উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের আয়োজন সুন্দর করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান অতিথি, সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিশেষ অতিথি করেছি। তাঁরা যেহেতু অনুষ্ঠানের অতিথি হতে সম্মতি দিয়েছেন, তাই আমরা পৃথকভাবে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। হঠাৎ করে ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য মধুপুরের ধর্মীয় নেতারা আলোচনা শুরু করেন। পরে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের নেতা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা আলোচনায় বসি। ওই আলোচনায় তাঁরা লালন উৎসব না করার পক্ষে অনড় থাকেন। একপ্রকার অমীমাংসিতভাবেই আমাদের সভা শেষ হয়।’

সবুজ মিয়া আরও বলেন, ‘লালন উৎসব যাতে না হতে পারে, সে ব্যাপারে আজ বুধবার সকালেও ওই দুটি সংগঠনের নেতারা বাসস্ট্যান্ড মসজিদে সভা করেন। তাঁরা লালনের ভ্রান্ত মতাদর্শ মধুপুরে প্রচার করতে দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি।’
এ ব্যাপারে কওমি ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয়কে সমর্থন আলেমেরা করতে পারে না। মধুপুরের আলেমরা লালনের উৎসব বন্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উপজেলা হেফাজতে ইসলামীর সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাও. মাহমুদুল্লাহ, কওমি উলামা পরিষদের সভাপতি মাও. সোলায়মান কাসেমীসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে লালন সংঘ থেকে উপস্থিত ছিলেন, লালন সংঘের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন তরফদার এবং অনুষ্ঠানের আহবায়ক মো. সবুজ মিয়া।

আলোচনায় ইসলামিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ আরো জানান, লালন এর মতাদর্শ নাজায়েজ, কুফরি বা শিরক। তারা এই ভ্রান্ত মতাদর্শ মধুপুরে প্রচার করতে দিবেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে লালন সংঘের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমরা এখানে মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি। এখানে লালন এর মতাদর্শ নিয়ে কোন আলোচনা ইতোপূর্বে হয়নি এবারও হবে না। আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। এছাড়া যে গান গুলো নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে আমরা সে ধরনের কোনো গান অনুষ্ঠানে পরিবেশন করবো না।

ইসলামি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি  বেলা ১১টায় হেফাজত, কওমি উলামা, ইসলামি আন্দোলন মিলে মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। বুধবার এসে জানতে পেরেছি, লালন স্মরণোৎসবের বিষয়ে ইসলামি দলগুলো আপত্তি জানিয়েছে।’ এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, আয়োজক কমিটি ও ইসলামী দল গুলো  আলোচনার মাধ্যমে এ লালন উৎসব স্থগিত করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়