এম.ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির উপ-কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা একটি মামলায় ঢাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভে ছাত্র জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রামে কয়েকজন ছাত্রসহ মোট ১০ জন নিহত হন, আহত হয়েছেন শতাধিক ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভের সময় এক ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সাইফুল ইসলাম ৩২তম সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ঢাকার মেট্রো রেলে (এমআরটি) উপ-মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ : বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত চান্দগাঁও থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চান্দগাঁও থানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার হত্যা মামলায় সিএমপির সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতেও আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য : ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নগরের চান্দগাঁও থানায় নিহত হৃদয় তরুয়ার বন্ধু আজিজুল হক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২০৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া অংশ নেন।
একইদিন চান্দগাঁও এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হয়েছিলেন হৃদয়। গত ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিদের অনেকে হামলায় যোগ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :