চান্দিনায় গো খাদ্যের তীব্র সংকট, খামারীরা বিপাকে
ওসমান গনি চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার চান্দিনায় গো খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে গরুর পালনকারী খামারীরা পড়ছে বিপাকে । গেল বন্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে চান্দিনার বিভিন্ন অংশও তলিয়ে যায়। যার কারণে বিভিন্ন ফসলের সাথে মানুষের ধানের জমিও তলিয়ে যায়। ফলে কৃষকরা তাদের ধানের ফসল বাড়িতে আনতে পারেননি। জমির সমস্ত ধান পচে যাওয়ার কারণে গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকার প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ৩/৫ করে গরু রয়েছে। আবার অনেকের ঘরে ৮/১০ টি গরুর ছোট ছোট খামার রয়েছে । এসব গরুর খামারিরা গরু খাদ্য খড় না পেয়ে অনেকে দেশের দূরদূরান্ত থেকে গরুর খাদ্য হিসেবে খড় বেশী দামে কিনে আনছেন। আবার অনেকে খড়ের বিকল্প হিসেবে তাদের কৃষি জমিতে ঘাসের চাষ ঘাস খাওয়াচ্ছেন। বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের গচ্ছিত খড়ের পারাও। এতে এলাকার কয়েক হাজার গবাদিপশুর খাদ্যাভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট বড় খামারীরা। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এই পরিস্থিতি দেখা যায়।
উপজেলার মেহার গ্রামের খড় ব্যাবসায়ী নুরুল হক জানান, এলাকার কৃষকের খড়ের অভাবের কথা জেনে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে গরুর খাদ্য খড় কিনে এনে এলাকায় বিক্রি করেন। খড়ের দাম যাই হোক কৃষকরা কমপক্ষে গরুকে খাওয়ানের খড়টুকু পাচ্ছে। বামনীখোলা গ্রামের গরু পালনকারী আব্দুর রহমান জানান,আমার ৩/৪ গরু আছে। ঘাস খাবাইয়া কোন রকম রাখছি সাথে কিছু খড় দিতে হয়। ব্যাপারী থেকে কিছু কিছু খড় কিনে গুরুকে খাওয়াই আমার মতো অনেকেই গরু নিয়ে এভাবে বিপাকে পড়ে আছে। কি করব গরু যেহেতু আছে গরু খাদ্য তো দিতে হবে। এছাড়া বাজারে খইল-ভুষির দাম অধিক। অনেক কৃষক খৈল, ভূষি বাজার থেকে কিনে খাওয়ানোর টাকা পয়সা নেই। যাদের টাকা-পয়সা আছে তারা খাওয়াচ্ছে। বাজারের খাদ্য কিনে গরুকে খাওয়ালে গরুর দুধ ও মাংস উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :