শিরোনাম
◈ ভ্যাট নিবন্ধনে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ◈ সংকট মোকাবেলায় ভোলার গ্যাস ঘিরে নতুন আশা সরকারের ◈ 'অপারেশন ডেভিল হান্ট': ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার আরও ৬০৭ ◈ প্রতিশোধের চক্র ভেঙে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ বিজিবির কড়া প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বসানো ক্যামেরা খুলে নিচ্ছে বিএসএফ ◈ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলিকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো আইসিসি ◈ এক থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড, জানা গেল কারণ ◈ আবারও যুক্তরাষ্ট্রে দুই বিমানের সংঘর্ষ ◈ মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সিএনজি চালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ◈ হাসিনাসহ শীর্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩-৪টি মামলার রায় অক্টোবরে: আসিফ নজরুল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:২৭ রাত
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাটমোহরে নিষিদ্ধ চায়না জালে মাছ নিধন চলছে 

জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা)  প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলে নিষিদ্ধ চায়না জালে মাছ নিধন চলছে। সকালে চাটমোহর পৌর সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজার দেখা মিলছে চায়না জালে নিধন করা মাছ। এ জাল থেকে কোন মাছই রেহাই পাচ্ছে না। নদী ও খাল ডুবে অহরহ চেখে পড়ছে এ মাছ ধরার দৃশ্য। দিনের বেলায় বাড়ির আঙিনায়,  বিলে শুকানো হয়। সন্ধ্যা নামলেই এক শ্রেণির মৎস্য খেকোরা নিষিদ্ধ চায়না জাল নিয়ে মাছ নিধন যঙ্গে মেতে উঠে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, নিষিদ্ধ চায়না জালে মাছ ও জলজ প্রাণী নিধন হুমকিতে জীববৈচিত্র্য।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলনবিলের খালবিলে চায়না দুয়ারি জাল পেতে অবাধে পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। চায়না দুয়ারি জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছসহ সাপ, কুঁচিয়া, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুকসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণী। এতে হুমকিতে পড়েছে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য।

চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে চায়না দুয়ারি নামের বিশেষ ধরনের ফাঁদ জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছেন স্থানীয়রা। খুব সহজে বেশি মাছ ধরার এই ফাঁদ ব্যবহারে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছেই। ফলে ভবিষ্যতে দেশী প্রজাতির মাছ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চাটমোহর বোয়ালমারী গ্রামের আবদুল মতিন বলেন, সকাল থেকে বিকেল, আর সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এই চায়না দুয়ারি নদীতে ফেলা হয়। এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তসহ নদীতে থাকা জলজ প্রাণী কাঁকড়া, শামুক, কুঁচিয়া ও ব্যাঙ ধ্বংস হচ্ছে। বেশিরভাগ জালে মাছের চেয়ে অন্যান্য জলজ প্রাণীই আশঙ্কাজনক হারে মারা পড়ছে। অবাধে এ জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছুদিন পর হয়ত খালে-বিলে শূন্য দেখা যাবে। 
 
কয়েক মৎস্য শিকারি বলেন, চায়না দুয়ারি জালে খুব ছোট দারকিনা, মলা, ইচা, চান্দা, খলিশা, পুঁটি, টেংরা, বাতাসি মাছ থেকে শুরু করে বড় শোল, বোয়াল, গজার কোনো মাছের রেহাই নেই। বেশিরভাগ জালে মাছের চেয়ে সাপ, কুঁচিয়া, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুক, ঝিনুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। এসব থেকে তারা মাছ ও কুঁচিয়া বিক্রি করছেন। বাকি অসংখ্য জলজ প্রাণী মেরে ফেলা হচ্ছে।
 
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হচ্ছে। মাছ নিধন ও অন্যান্য জলজ প্রাণী ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হবে। এই জালের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে যেতে আমরা মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছি।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়