এজলাস সংকটে চাঁদপুরে ব্যাহত হচ্ছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম
মিজান লিটন : দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বতন্ত্র জুডিসিয়াল ভবন তৈরি হয়ে গেলেও বৃহত্তর জেলা চাঁদপুরে আজও হয়নি ভবন ৷ এজলাস কম হওয়ায় একই এজলাসে দুই থেকে তিনজন বিচারক কাজ করেন পালা ক্রমে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিজস্ব ভবন নির্মিত না হওয়ায় সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে৷ ক্রমাগত বাড়ছে মামলাজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিচারপ্রার্থী ও বিচার সংশ্লিষ্টরা।
২০০৭ সালে বিভাগ আলাদা হওয়ার পরে ফৌজদারি বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আলাদা বিচারক এবং আলাদা এজলাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সময়ের পরিক্রমায় বিচারক সংকট কেটে গেলেও অবকাঠামোগত জটিলতা রয়েই গেছে।
একজন বিচারক এজলাস থেকে নামলে অন্যজন বিচারকার্য পরিচালনার জন্যে উঠেন ৷ এতে বিচার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিচার প্রার্থী ও আইনজীবীরা সকালে কোর্টে এলে ফিরতে ফিরতে হয় সন্ধ্যা। এজলাস সংকটে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে মামলাজটও। বেড়েই চলছে দুর্ভোগ।
আধুনিক এই যুগে এসেও চাঁদপুরে বিচারিক আদালত পরিচালনা করা হয় টিনসেড রুমে। এবং এখানে বিভিন্ন মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি ও পরে থাকতে দেখা যায় অরক্ষিত। এতে সবসময়ই আশঙ্কার মধ্যে থাকেন আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারিগন।
চাঁদপুরের আদালতে সব মিলিয়ে বিচারধীন মামলা রয়েছে ৪৩ হাজার। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিচারক,বিচার প্রার্থী, আইনজীবী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। অনেকটা গাদাগাদি আর হট্টগোলের মধ্যে চলছে বিচারিক কাজ।
আপনার মতামত লিখুন :