শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:২৫ বিকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাবিতে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ শ্লোগান, বঙ্গবন্ধুর মুরাল ও নামফলক ভাঙচুর

ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে চারটি আবাসিক হল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টার দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে। বৃহস্পতিবার সকালেও উত্তপ্ত ছিল রাবি ক্যাম্পাস।

আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ও নির্মাণাধীন এএইচএম কামারুজ্জামান হলের নামফলক ভেঙে ফেলে এবং সেগুলোর নতুন নামকরণ করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পরিবর্তে বিজয় ২৪ হল, এএইচএম কামারুজ্জামান হলের পরিবর্তে শহীদ রায়হান হল, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে ফাতেমা আল-ফিহরিয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পরিবর্তে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের পরিবর্তে  রিয়াগোপ মডেল স্কুল।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ, মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ছাত্রলীগের ঠাঁই নাই’—এই ধরনের শ্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজশাহী সরকারি কলেজও। কলেজের প্রবেশদ্বারের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, "আমার ভাইদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ শুকানোর আগেই খুনি হাসিনা পুনরুজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মুছে ফেলতেই এই কর্মসূচি পালন করেছি।"

রাবির প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো হলের নাম পরিবর্তন করতে হলে সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন নিতে হয়। প্রশাসনের বাইরে গিয়ে কেউ কোনো নাম পরিবর্তন করতে পারে না।"

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়