শিরোনাম
◈ সারজিসের স্ত্রী কুরআনে হাফেজা, শ্বশুর পেশায় একজন ব্যারিস্টার ◈ ফের বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম ◈ সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ৮ ◈ ট্রাম্পের সহায়তা প্রত্যাহারে চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে বাংলাদেশ ◈ দুই দেশ থেকে এলো সাড়ে ৩০ হাজার টন চাল ◈ রাজনৈতিক নেতৃত্বই জুলাই বিপ্লবে পুলিশকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল: এইচআরডব্লিউ ◈ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধাবোধ থাকবে বলে আশা ভারতের ◈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধের জেরে আইসিডিডিআর,বির হাজার কর্মী ছাঁটাই ◈ বিগত সময়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদেরকে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহ্বান ◈ বিয়ে করলেন সারজিস আলম, পাত্রী কে?

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:২৭ বিকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভৈরবের সুমন ইতালি যাওয়ার চেষ্টা অবৈধ পথে, প্রাণ গেল ভূমধ্যসাগরে 

ইউরোপের দেশ ইতালি যেতে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সুমন মিয়া (৪৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লিবিয়ায় থাকা তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিষয়টি স্বজনেরা নিশ্চিত হয়েছেন। সুমন পৌর শহরের জগন্নাথপুর লক্ষ্মীপুর এলাকার মাহমুদ হোসেনের ছেলে।

সুমনের স্বজনেরা জানায়, চার মাস আগে ইতালি যেতে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় পাড়ি জমান সুমন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও যমজ ছেলেমেয়ে রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সেখান থেকে ২৫ জন মিলে একটি বোটে করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছিলেন। এ সময় সুমনসহ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সুমনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

সুমনের মৃত্যুর বিষয়টি পাঁচ দিন পর জানতে পারেন তাঁর স্বজনেরা। স্ত্রী পলি বেগম, বোন শিল্পী বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা সুমন মিয়ার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

এ বিষয়ে শিল্পী বেগম বলেন, ‘সুমন বাড়িতে একটি চালকল চালাত। তার দুই বছরের যমজ ছেলেমেয়ে এবং ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ধারদেনা করে ১৮ লাখ টাকায় ইতালি যেতেই লিবিয়া থেকে ডাঙ্গি দিয়েছিল। প্রথমে দালালপক্ষের লোকজন আমাদের বলে, সবাই ইতালি পৌঁছে গেছে। পরে শুনতে পাই, আমার ভাইসহ সবাই অসুস্থ ছিল। পরে সুমনসহ দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা চাই, সরকারের সহযোগিতায় যেন আমার ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরে আসে।’

সুমনের স্ত্রী বলেন, ‘শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকার সুইটি নামের দালালের মাধ্যমে আমার স্বামী লিবিয়ায় যান। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। ২৩ জানুয়ারি আমার সঙ্গে শেষ কথা হয় সুমনের। তিনি বলেছিলেন, ইতালি পৌঁছে ফোন দেবেন। কিন্তু চার দিন আগে মৃত্যুর খবর পেলেও ২৯ জানুয়ারি রাতে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই। স্বামীর মরদেহ দেশে আনা ছাড়া আমি আর কিছু চাই না। আমার শিশুসন্তানেরা যেন শেষবারের মতো তাদের বাবার মুখ দেখতে পায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত্যুর বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যারা অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে, তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করে থাকে প্রশাসন। তা ছাড়া দালালদের শাস্তির আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে জানানো হয়। মরদেহ ফিরে পেতে তাঁর স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়