✖

কাপাসিয়া প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ১১নং দুর্গাপুর ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহাব খান খোকাকে  আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে এক দল যুবক ।  বৃহস্পতিবার বিকালে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাণীগঞ্জ বাজার থেকে তাকে স্থানীয়  লোকজন আটক করে। ওই সময় তার কাছে থাকা নিজের একটি লাইসেন্স করা পিস্তল ছিলো।  আটকের সময় যুবকরা চেয়ারম্যানকে মারধর ও হেনস্তা করেছে বলে অভিযোগ খোকার পরিবারের। এদিকে শুক্রবার খোকাকে আদালতে তোলা হবে। 

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট কাপাসিয়ার ফকির মজনু শাহ সেতু ও ডাকবাংলো এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কাপাসিয়া থানায় উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন বাদি হয়ে একটি নাশকতার মামলা করেন। ওই মামলার ২৬ নম্বর আসামি ছিলেন চেয়ারম্যান ওয়াহাব খান খোকা।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান , গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কাপাসিয়া থানায় উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়নে দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহাব খান খোকা। ওই মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।  স্থানীয়রা তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। তার নামে লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তলও জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান খোকা দুর্গাপুর ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন খানের ছেলে।

তিনি জনগণের ভোটে দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। একসময় তিনি জাতীয় পার্টি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি তিনি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। জুলাই বিপ্লবের পর তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করছেন এলাকাবাসী।