কল্যাণ বড়ুয়া,বাঁশখালী : দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগের অন্যতম শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর চলাচলের ফুটপাত ভেঙ্গে লোহা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন ফুটপাতের নতুন নতুন অংশের ফুটপাত থেকে লোহা নিয়ে যাওয়াতে এ ভাঙ্গন দিন দিন বৃহৎ আকার ধারন করছে ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে তৈলারদ্বীপ সেতুর ফুটপাতের অংশ। বাঁশখালীসহ দক্ষিণের কক্সবাজারগামীদের জন্য গুরুপ্তপূর্ণ এ শংখ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতু নির্মাণ কাজের সুচনা করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি, অপরদিকে শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর উদ্বোধন করেন ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
স্থানীয় জনগণ ও সরজমিনে পরিদর্শণ কালে দেখা যায়, শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর বাঁশখালী অংশে ব্রিজের দক্ষিণ অংশের পাশে মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে সেখানে বালি ভরাট করে বস্তা দিয়ে মেরামত করা হলেও তা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
অপরদিকে সেতুর চলাচলের বেশ কিছু অংশ ফুটপাত ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। শংখ ব্রীজের দক্ষিণ অংশ বেশি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সওজের পক্ষ থেকে ঢালাই করার কাজ চলছে। গতকাল সরজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় পথচারীরা ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, এটা খুব শীঘ্রই গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া যাওয়ার একমাত্র সেতু, যাতে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে।
শংখ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর পাশের মাটি সরে যাওয়া এবং ফুটপাত ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে সওজের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিগত ৫ আগষ্টের পর টোল ঘর পুঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ফুটপাতের নতুন নতুন অংশ ভেঙ্গে সেখান থেকে লোহা গুলো নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত বলে তিনি জানান। এদিকে বাঁশখালীর ছাত্রজনতা থেকে সর্বস্তরের জনতার পক্ষ থেকে শংখ নদীর তৈলারদ্বীপ সেত তে স্থায়ীভাবে টোল বন্ধের দাবীতে বিগত কিছুদিন আগে বাঁশখালী ও আনোয়ারার সহকারি কমিশনার(ভুমি) সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় নানা শ্রেনীর জনগনের অংশগ্রহনে গনশুনানী অনুষ্টিত হয় । সেখানে স্থায়ী ভাবে টোল বন্ধের অভিমত প্রদান করেন সকলে বলে জানান টোল বন্ধ ও পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধের দাবীতে আন্দোলন কারিদের অন্যতম সমাজকর্মী মো: নিজাম উদ্দিন।
বাঁশখালী সহ দক্ষিনের কক্সবাজার, চকরিয়া,পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এলাকার জনগনের যান চলাচলের গুরুপ্তপূর্ণ সেতু এটি। কোন কারণে যদি তৈলারদ্বীপ সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে যান চলাচল বন্ধ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। তাই এ সেতুর প্রতি সওজের বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে দাবী করেন সর্বস্তরের জনগন সহ পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
ছবি সংযুক্ত- শংখ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর ফুটপাত ভেঙ্গে ফেলার দৃশ্য।
আপনার মতামত লিখুন :