শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতাসহ দু' শিক্ষার্থী নিহত

মোঃ আসাদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কাছে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ দু' শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিন থেকে চারজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর হাটে  এই ঘটনা ঘটে।

নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলো, নাচোলের খলসি গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে  ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা (২০)।  মাসুদ  নাচোল উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও একই ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রায়হান (১৫)। আহতরা হলো, সুমন (১৮), রজব(১৭),আরমান (২১)। এদের মধ্যে সুমন ও রজবকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার মল্লিকপুর  হাটতে স্থানীয় বিএনপি নেতার আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দু' গ্রুপ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছুরি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো শুরু করে এক গ্রুপ। এতে ছুরিকাঘাতে  মাসুদ ও  রায়হান নিহত হয়। আহত হয় আরো তিন থেকে চার জন।
নিহত রায়হানের ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, মল্লিকপুর বাজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানটি শেষের পথে। এসময় দুই গ্রুপের মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মারা যায়।  আমিতো জানিনা যে আমার ছোট ভাই মার্ডার হয়েছে। পরে শুনছি যে আমার ভাইও মারা মারা গেছে।

আহত আরমান বলেন, আমার বন্ধুকে মারধর করতে দেখে আমি ছুটাতে গিয়ে ছিলাম। তারা আমাকেও আহত করে। তাদেরকে আমি চিনিনা।তবে কি নিয়ে মারামারি তাও বলতে পারব না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহাদ আকিদ রেহমান জানান, আমাদের কাছে আসার পূর্বেই মাদুস ও রায়হান মারা যায়। ইসিজি করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এছাড়াও আহত তিনজনের মধ্যে দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। 

ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ' মুলত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ১৮/১৯ বছর বয়সী ছেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। অনুষ্ঠান শেষের পরই কোপাকুপি হয়। অন্তরালে অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা খতিয়ে দেখে পরে জানাতে পারবো'।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়